|
|
|
|
আশরফের অজমের সফরে নেই দরগার প্রধানই |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
পাক প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরফের অজমের সফর ঘিরে বিতর্কের পারদ চড়ল আরও কিছুটা। আগামী কালই খাজা মঈনুদ্দিন চিস্তির দরগায় প্রার্থনা করতে আসছেন রাজা পারভেজ। ঠিক তার আগের দিন দরগার প্রধান জইনুল আবেদিন আলি খান জানিয়ে দিলেন, পাক প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থনার সঙ্গী হচ্ছেন না তিনি। নিয়ন্ত্রণ রেখায় সাম্প্রতিক নৃশংসতার কারণেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত।
গত এপ্রিলে পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এসেছিলেন এই অজমের শরিফ দরগায়। সে বার তাঁর আপ্যায়ন প্রথামাফিকই হয়েছিল। কিন্তু এই এক বছরে অনেকটাই বদলেছে দুই দেশের সম্পর্কের সমীকরণ। নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে এ দেশে ঢুকে দুই ভারতীয় সেনার মাথা কেটেছে পাক জওয়ানরা। কিছু দিন আগের হায়দরাবাদ বিস্ফোরণে ফের সামনে এসেছে পাক মাটিতে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদতের বিষয়টি।
এত কিছুর পর নিয়ম মেনে পাক প্রধামন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে প্রথম সারির নেতারা হাজির থাকবেন কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা। পাকিস্তানের তরফে জানানো হয়, এটা প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সফর। তাই পাক প্রেসিডেন্টের আগের সফরে নয়াদিল্লির নাম থাকলেও পারভেজের কালকের ভ্রমণসূচি থেকে বাদ পড়েছে তা।
ব্যক্তিগত বিমানে কাল সকালে সপরিবার জয়পুরে নামছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে অজমের ঘুরে আবার জয়পুর থেকেই ধরবেন ফিরতি বিমান। ফলে প্রধানমন্ত্রী, কংগ্রেস সভানেত্রী বা বিরোধী দলনেত্রীর সঙ্গে এ বার তাঁর দেখা হওয়ার সুযোগ হচ্ছে না। তাঁর সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র সৈয়দ আকবরুদ্দিন জানান, দু’জনের মধ্যে সরকারি কথা হবে না। তবে সূত্রের খবর, সরকারি ভাবে কথা না হলেও, দু’দেশের শীর্ষ প্রতিনিধির ঘরোয়া বৈঠকে ভারতের তরফে সন্ত্রাস বন্ধের আর্জি তোলা হবে। এই পরিস্থিতিতে খাজা মঈনুদ্দিন চিস্তির দরগার প্রধান বেঁকে বসায় পরিস্থিতি জটিল হল। অজমের শরিফ দরগার প্রধান আজ বলেন, “উনি কেন আসছেন জানি না। ওঁর প্রার্থনার সময় আমি সঙ্গে থাকব না। থাকলে ওই দুই ভারতীয় সেনার পরিবারকে অসম্মান করা হবে। তা ছাড়া এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড তো শুধু মানবিকতা বিরোধী নয়, তা ইসলামেরও পরিপন্থী।” |
|
|
|
|
|