|
|
|
|
|
দরপত্র চালু হতেই সস্তা হল ত্রিফলা
অনুপ চট্টোপাধ্যায় |
|
দরপত্র ডাকতেই ত্রিফলার বাতির দর কমে গেল ১০০ টাকা। ততক্ষণে অবশ্য পুরসভার ভাঁড়ার থেকে এই বাবদ গলে গিয়েছে বাড়তি ৬০ লক্ষ টাকা। এত দিনে টনক নড়ার পরে পুর-কর্তৃপক্ষ দেখলেন, ২৩১ টাকা দরে ত্রিফলায় ব্যবহৃত ১৮ ওয়াটের সিএফএল কেনা হয়ে গিয়েছে ৬০ হাজারটি। অথচ সম্প্রতি দরপত্র ডাকার পরে ফিলিপস কোম্পানি দর দিয়েছে ১৩০ টাকা। অর্থাৎ বাতি পিছু ১০০ টাকা হিসেবে পুরসভার লোকসান দাঁড়িয়েছে ৬০ লক্ষে।
পুর ভাণ্ডারের এই লোকসানের কথা অবশ্য মেনে নিয়েছেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, “প্রচুর পরিমাণে সরবরাহের বরাত মেলার আশায় কম দর মিলেছে।” মেয়রকে প্রশ্ন করা হয়, “আগেও তো হাজার হাজার বাতি কেনা হয়েছে। তখন দর কমল না কেন?” শোভনবাবুর জবাব, “সেই কারণেই তো ত্রিফলা নিয়ে অডিট হয়েছে। অসঙ্গতি মিলেছে। শো-কজ করা হয়েছে।”
পুর সূত্রের খবর, ত্রিফলায় অনিয়ম নিয়ে ইতিমধ্যেই পরপর পুরসভার দু’জন ডিজি (আলো) কে তাঁদের পদ থেকে সরানো হয়েছে। অনিয়ম কেন হয়েছে, তা জানতে ওই দুই অফিসারকে শো-কজও করা হয়েছে। তাঁদের এক জনের (গৌতম পট্টনায়ক) আবার অবসরকালীন ভাতাও আটকে রাখা হয়েছে। শো-কজের জবাব না দিয়ে ওই দুই অফিসার আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন বলে পুর সূত্রের খবর।
এ দিকে পুরসভার স্টোর্স দফতরের খবর, শুধু দরপত্র ডেকেই বাতির দর ১০০ টাকা কমেছে। এর পর প্রতিটি বাতিস্তম্ভের ঢাকনা, যা প্রতিটি ২৯৬৫ টাকা দরে কেনা হয়েছে, তার দরও চাওয়া হয়েছে। ওই দফতরের এক আধিকারিক জানান, বাতি-সহ ঢাকনা-পিছু বাজারদর ২০০০ টাকার কাছাকাছি। এর জন্যও দরপত্র চাওয়া হচ্ছে। ওই অফিসারের হিসেব মতো, এ ক্ষেত্রেও লোকসান বাতিপিছু প্রায় ১০০০ টাকা। অর্থাৎ ৬০ হাজার বাতির জন্য তার পরিমাণ দাঁড়ায় ৬ কোটি টাকা, যা অতিরিক্ত মেটাতে হয়েছে পুরসভাকে। |
|
|
|
|
|