যাত্রী-গাড়ি বিক্রি তলানিতে। বাড়ছে গুদামে পড়ে থাকা গাড়ির সংখ্যা। তাই মারুতি-সুজুকির মতো সংস্থাও আজ, শনিবার গুড়গাঁওয়ের কারখানা বন্ধ রাখছে। আবার জেনারেল মোটরস বা টয়োটা কির্লোস্কারের মতো সংস্থা জানিয়েছে, চাহিদা অনুযায়ীই গাড়ি তৈরি করছে তারা। সম্প্রতি টাটা মোটরসও ন্যানোর উৎপাদন কমানোর কথা জানিয়েছে।
শুক্রবার মারুতি জানিয়েছে, তারা আজ এক দিনের জন্য গুড়গাঁও কারখানা বন্ধ রাখছে। তবে মানেসর কারখানা চালু থাকবে। সংস্থা সূত্রের খবর, গুড়গাঁওয়ের কারখানায় দুটি শিফটে দিনে ৩০০০-৩২০০ গাড়ি তৈরি হয়। যার বেশির ভাগই পেট্রোলচালিত। এ রাজ্যের এক মারুতি ডিলার জানান, ডিজেল গাড়ির বিক্রি কমেওনি, বাড়েওনি। কিন্তু পেট্রোলচালিত গাড়িগুলির বিক্রি কমেছে প্রায় ২০%। সাধারণত মাস পিছু তাঁদের ২১ দিনের মজুত ভাণ্ডার (ইনভেন্টরি) রাখার কথা। কিন্তু এখন তা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। তাঁর মন্তব্য, “কেউ গাড়ি কিনতে চাইলে এখন আর শো-রুমে চাবির জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। বাড়িতেই গাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে।” |
কিন্তু এক দিন কারখানা বন্ধ রেখে মজুত ভাণ্ডার কতটা কমানো যাবে? সংস্থা ও ডিলার উভয়েরই দাবি, কমবে সামান্যই, অন্তত আর বাড়বে না।
জেনারেল মোটরস কর্তা পি বালেন্দ্রন জানান, তাঁরাও বাজারের চাহিদা অনুযায়ীই গাড়ি তৈরি করছেন। একই পথের পথিক টয়োটা কির্লোস্কার। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, কারখানা বন্ধ না করলেও বাজারের চাহিদা মেনে গাড়ি তৈরির অর্থই হল পুরোমাত্রায় কারখানার উৎপাদন না হওয়া। |