উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষাকেন্দ্র বদলের দাবিকে কেন্দ্র করে স্কুলে তালা দিয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করায় আন্দোলনকারীদের হটাতে পুলিশ লাঠি চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মালদহের চাঁচল -২ ব্লকের গোবিন্দপাড়া এলাকার ঘটনা। ঘটনার জেরে বুধবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা ছিল। চাঁচল -১ ব্লকের কোনও স্কুলে তারা পরীক্ষা দিতে যাবেন না বলে দুপুর থেকে গোবিন্দপাড়া হাই স্কুলে তালা ঝুলিয়ে স্কুলের সামনে ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে ৪০০ -রও বেশি পরীক্ষার্থী। বিকালে পরীক্ষার্থীদের উপর র্যাফের লাঠি চালানোর অভিযোগ নিয়ে তেতে ওঠে এলাকা। সন্ধ্যায় এলাকায় যান বিডিও, আইসি, এসডিপিও। পরীক্ষাকেন্দ্রের ইনচার্জ, পুলিশ পরীক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনায় বসলেও রাত পর্য়ন্ত সমাধান মেলেনি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চাঁচল -২ চক্রের পরিদর্শক তথা সেন্টার ইনচার্জ শুভঙ্কর মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “পরীক্ষা কেন্দ্র তো কাউন্সিল ঠিক করেছে। সেখানে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে।”
স্কুল সূত্রে জানা যায়, চাঁচল -১ ব্লকে ১০টি ও চাঁচল -২ ব্লকে ৭টি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্র হয়েছে ৬টি স্কুলে। কিন্তু চাঁচল -১ ব্লকে ৫টি পরীক্ষাকেন্দ্র করা হলেও চাঁচল -২ ব্লকে করা হয়েছে একটি মাত্র পরীক্ষা কেন্দ্র। সেটা গোবিন্দপাড়া হাই স্কুলে। ফলে চাঁচল -২ ব্লকের বেশিরভাগ পরীক্ষার্থীকেই পরীক্ষা দিতে যেতে হবে দূরের চাঁচলে। তবে মালদহের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, “এটা পুলিশের বিষয় নয়। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ায় পুলিশ হস্তক্ষেপ করেছে মাত্র।” গোবিন্দপাড়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক মমতাজ আলি বলেন, “সমস্যার কথা একাধিকবার কতৃপক্ষকে জানিয়েছি।” স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক আদিত্য দাস বলেছেন, “রাত অবধি তালাবন্দি হয়ে রয়েছি। শুনেছি পুলিশ ছাত্রদের উপর লাঠি চালিয়েছে। বাইরে কি হচ্ছে কিছুই জানি না।” বিডিও ইয়াশি তামাং বলেছেন, কীভাবে সমস্যা মেটে তা দেখা হচ্ছে। |