কোচবিহারে সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা দফতর। বুধবার দফতরের অতিরিক্ত অধিকর্তা অমলেন্দু বসু ও যুগ্ম অধিকর্তা কলেজ তৈরির জন্য জমি দেখতে শহর লাগোয়া হরিণচওড়া এলাকায় যান। কয়েকমাস আগে সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ তৈরির বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়। ওই প্রস্তাবের ভিত্তিতে এদিন জমি দেখতে যান কারিগরি শিক্ষা দফতরের কর্তারা। জমি পরিদর্শনের সময় তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকরা। কারিগরি শিক্ষা দফতরের অতিরিক্ত অধিকর্তা অমলেন্দু বসু বলেন, “সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ তৈরির জন্য ১০ একর জমি প্রয়োজন। হরিণ চওড়ায় ৩০ একর জমি রয়েছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট পেশ করা হবে।” |
কোচবিহারে হরিণচড়ায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের জন্য বুধবার জমি দেখল প্রতিনিধিদল। —নিজস্ব চিত্র। |
কোচবিহার শহর লাগোয়া হরিণ চওড়ায় ৩০ একর সরকারি জমি রয়েছে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির দাবিও রয়েছে। কিন্তু তোর্সা নদীর গা ঘেষে থাকায় বাঁধ না দিলে সমস্যার আশঙ্কায় ওই এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। যদিও রাজ্যের পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ অবশ্য বলেন, “বাঁধের ব্যবস্থা হলে এটা এডুকেশন্যাল হাব তৈরির আদর্শ জায়গা হবে। প্রায় ২ কিমি দীর্ঘ বাঁধ তৈরির জন্য ৩ কোটি টাকার প্রকল্প রাজ্য সরকারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ছাড়াও সেখানে আইন কলেজ, মাদ্রাসা কলেজ তৈরির ব্যাপারেও চেষ্টা হচ্ছে।” কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “জমি নিয়ে সবুজ সংকেত পেলে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ তৈরির বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” জেলা পরিষদের সিপিএম সভাধিপতি দিলীপ বিশ্বাস বলেন, “ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হলে ভাল হবে। আমরা কাজ দেখতে চাই।” |