জলের দাবিতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল চা বাগানের বাসিন্দারা। বুধবার সকাল ৮টা থেকে কাঁঠালগুড়ি বাগানের বাসিন্দারা সামচি-বানারহাট রোডে জলের জ্যারিকেন রেখে অবরোধ চলায়। নাকাল হতে হয় নিত্যযাত্রীদের। রাস্তার দু’পাশে গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। পুলিশের হস্তক্ষেপে বেলা ১টা নাগাদ অবরোধ উঠে যায়। |
জল না পাওয়ায় পথে নেমেছেন ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। —নিজস্ব চিত্র। |
শ্রমিকদের অভিযোগ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের দুটি পাম্পে এলাকায় জল সরবরাহের ব্যবস্থা থাকলেও প্রত্যেকে জল পায় না। মূল বাগান থেকে এক কিলোমিটার দূরের ওই বাসিন্দাদের জন্য একটি পাম্প বসানোর কাজ শুরু হলেও তিন মাস থেকে তা বন্ধ রয়েছে। দুই এলাকায় ৪টি গভীর নলকূপ বিকল। অনেক আবেদেনের পরেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। নিউ ডুয়ার্স চা বাগান থেকে জল এনে ব্যবহার করতে হচ্ছে। ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চিন্তামোহন রায় সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, “এলাকায় জলের ব্যবস্থা করতে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
২০০২ সাল থেকে টানা আট বছর ধরে বন্ধের পর ২০১০-এর ২ জুন কাঁঠালগুড়ি বাগান চালু হয়। এখনও বাগানে বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু হয়নি। বাগানের ম্যানেজার সুব্রত সাহা বলেন, “আগের মালিকের বকেয়া ৮ লক্ষ টাকা বিদ্যুতের বিল সুদে আসলে ২৭ লক্ষ টাকা হয়েছে। এত টাকা মেটানো অসম্ভব। আমাদের বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলে জলের সমস্যা হত না।”
কাঁঠালগুড়ি বাগানের ডিভিশন লাইনের বাসিন্দা মাংরা ওঁরাও জানান, সাইকেলে জ্যারিকেন চাপিয়ে নিউ ডুয়ার্স বাগান থেকে জল আনতে ছুটতে হয়। গরম পড়তে জলকষ্ট তীব্র হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের কর্তারা কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। তাই বাধ্য হয়ে এদিন তাঁরা পথ অবরোধ করেন। শ্রমিকরা এ দিন রাস্তায় দাঁড়িয়ে জলের দাবিতে স্লোগান দেয়। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে গেলেও দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ফের আন্দোলনের হুমকি দেন তাঁরা। |