টাকার অভাবে তুফানগঞ্জে গদাধর নদীর উপরে সেতু তৈরির কাজ থমকে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে চিলাখানা -২ গ্রাম পঞ্চায়েতের দরিয়াবালাই এলাকায় গদাধর নদীর উপরে কোচবিহার জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ ১০৭ মিটার দীর্ঘ সেতু তৈরির কাজ শুরু করে। খরচ ধরা হয় ২ কোটি ৯৭ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা। প্রাথমিক ভাবে সীমান্ত এলাকা উন্নয়ন তহবিলের বরাদ্দ ৫০ লক্ষ টাকা খরচ হয়। তারপর থেকে টাকার অভাবে কাজ থমকে যায় বলে অভিযোগ। ওই পরিস্থিতিতে ২০১৩ সালের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি দিলীপ বিশ্বাস বলেন, “প্রাথমিক বরাদ্দ খরচের পরে নতুন করে টাকা না মেলায় সেতুর কাজ বন্ধ। টাকার ব্যবস্থা করে করে দ্রুত কাজ শুরু করার চেষ্টা চলছে।”
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, তুফানগঞ্জের চিলাখানা -২ এলাকায় গদাধর নদীর উপরে সেতু না থাকায় বাসিন্দাদের ঘুরপথে মহকুমা শহরে যাতায়াত করতে হয়। দুর্ভোগ পোহাতে হয় অন্দরান ফুলবাড়ি -১, ফুলবাড়ি -২, নাটাবাড়ি -১, নাটাবাড়ি -২ ও ধলপল -২ এলাকার বাসিন্দাদের। সমস্যা মেটাতে সীমান্ত এলাকা উন্নয়ন তহবিল (বিএডিপি ) ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ থেকে ৫০ লক্ষ করে মোট এক কোটি টাকায় প্রাথমিক কাজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের বরাদ্দ না -মেলায় শুধু বিএডিপি প্রকল্পের টাকায় কাজ শুরু করা হয়। জেলা পরিষদের এক কর্তা জানান, রাজ্যে ক্ষমতার পালা বদলের পরে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের বরাদ্দ টাকা আগের আশ্বাস অনুযায়ী না মেলায় জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধী অবশ্য বলেন, “খোঁজ নিয়ে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হবে।” স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে। এক সপ্তাহের মধ্যে ফের সেতুর কাজ শুরু করা যাবে বলে আশা করছি।”
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্ত এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে আরও ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে সেতুর কাজ শুরু করার চেষ্টা চলছে। বাকি আরও প্রায় দুই কোটি টাকা কোথায় মিলবে সেই বিষয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি বলেন, “এক সঙ্গে সব টাকা পাওয়া যায় না। বিভিন্ন খাত থেকে টাকার ব্যবস্থা করে বড় কাজগুলি হয়। এক্ষেত্রেও সেই পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।” জেলা পরিষদ কর্তাদের ওই বক্তব্যে খুশি নয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, এক বছর থেকে কাজ বন্ধ হয়ে থাকলেও হেলদোল নেই কর্তৃপক্ষের। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তাই এখন অনেক কথা বলা হচ্ছে। |