চাকরির ফর্ম না পেয়ে বিক্ষোভ দেখানোয় চাকুরিরত প্রার্থী বেকার যুবকযুবতীদের উপর বেধড়ক লাঠিচার্জ অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। সেখানে ফের পুলিশ তাঁদের উপর লাঠিচার্জ করে করে অবরোধ তুলে দেয় বলে অভিযোগ। বুধবার বিকালে ইংরেজবাজার থানার রথবাড়ি মোড়ে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশের লাঠিচার্জে সাংবাদিকরাও রেহাই পাননি। যদিও জেলা পুলিশ সুপার লাঠিচার্জের কথা অস্বীকার করেছেন। পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দোপাধ্যায় বলেন, “ফর্ম না পেয়ে কয়েকজন অসভ্য আচরণ করছিল। পুলিশ হস্তক্ষেপ করায় অবরোধ হয়। পুলিশ যেতেই অবরোধকারীরা পালিয়া যায়। কোনও লাঠিচার্জ হয়নি।”
মালদহ ও দুই দিনাজপুর জেলায় আবগারি দফতরের ১৪ জন মহিলা -সহ ৮৯ টি কনস্টেবল পদে ১০ হাজার ফর্ম বিলি করার দায়িত্ব মালদহ জেলা পুলিশকে দেওয়া হয়েছিল। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিবার্চন বিধি থাকায় ১ মার্চ থেকে শহরের পুলিশ লাইন থেকে ৭ হাজার ফর্ম ও চাঁচল থেকে ৩ হাজার ফর্ম বিলি শুরু করেছিল। ফর্ম নেওয়ার জন্য গভীর রাত থেকে তিন জেলার বেকার যুবক যুবতীরা লাইনে দাঁড়ান। এদিন দুপুর ৩টায় পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় ফর্ম শেষ হয়ে গিয়েছে। এতেই লাইন দাঁড়ানো যুবক -যুবতীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
পুলিশ লাইনের ভিতরেই বিক্ষোভ শুরি হয়। সেখানেই প্রথম পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। পুলিশের হাতে মার খেয়ে চাকুরিরত প্রার্থীরা প্রতিবাদ জানাতে বিকাল সাড়ে চারটা নাগাদ রথবাড়িতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দেখা দেয় যানজট। পাঁচটা নাগাদ জেলা পুলিশের এক ডিএসপি -র নেতৃত্বে কমব্যাট ফোর্সের জওয়ানেরা ফের লাঠিচার্জ করেন বলে অভিযোগ।
গাজলের গৌতম মজুমদার, সন্দীপ সরকার, নালগোলার মিঠুন রায় বলেন, “বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল একমাস ধরে ফর্ম বিলি করা হবে। ব্যাঙ্ক ড্রাফট এনে লাইনে দাড়িয়ে ফর্ম না পেয়ে প্রতিবাদ করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। আমাদের আশঙ্কা বাছাই করা লোককে পুলিশ ভিতর থেকে ফর্ম বিলি করছে। প্রতিবাদ জানাতে অবরোধ করলে ফের মেরে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।” |