|
|
|
|
চিকিৎসক সঙ্কট হাসপাতালে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইসলামপুর |
চারটি পদ ফাঁকা। মাত্র চার জন চিকিৎসককের ভরসায় চলছে স্বাভাবিক প্রসবে পুরষ্কারপ্রাপ্ত উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি গ্রামীণ হাসপাতাল। নেই স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। বন্ধ লাইগেশনের কাজ। অভিযোগ উঠেছে, ৩০ শয্যার ওই হাসপাতালের সমস্যার কথা কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ভারপ্রাপ্ত ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকারিক ধর্মেন্দ্র দাস সমস্যার কথা অস্বীকার করেননি। তিনি বলেন, “বর্তমানে অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে। সমস্যার কথা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালে ৮ জন চিকিৎসক থাকার কথা। আছেন ৪ জন। পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে তাঁদের জেরবার দশা হয়েছে। নার্স থাকার কথা ১৭ জন। আছেন ১০ জন। তাঁদের মধ্যে ৩ জনের বদলির নির্দেশ এসেছে। গত বছরেও ওই হাসপাতালে দু’জন স্ত্রী রোগ চিকিৎসক ছিলেন। তাঁদের একজন গত অক্টোবর মাসে চাকরি ছেড়ে চলে যান। অন্যজনকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে বদলি করা হয়। ওই পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে যায় লাইগেশনের কাজ। অথচ ওই গ্রামীণ হাসপাতালে শুধুমাত্র করণদিঘির রোগী নয়। বিহারের রোগীও চিকিৎসার জন্য ভিড় করেন। প্রতিদিন চাপ বাড়ছে। হাসপাতাল সূত্রেই জানা গিয়েছে, প্রতিদিন বহির্বিভাগে চার শতাধিক রোগীর ভিড় থাকে। জরুরি বিভাগে রোগী আসে গড়ে ৫০ জন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে সিজার শুরু হলেও পরে চিকিৎসকের অভাবে তা বন্ধ হয়ে যায়। এমনকী আজও ব্লাড ব্যাঙ্ক তৈরি হয়নি। পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় অন্য চিকিৎসার পরিষেবাও মিলছে না বলে অভিযোগ। করণদিঘির বাসিন্দা মহম্মদ ইসরাত আলম বলেন, “হাসপাতালের পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ নেই। মহিলা রোগীদের রায়গঞ্জে জেলা হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে। প্রত্যেকের পক্ষে যাতায়াতের টাকা জোগার করা সম্ভব হয় না।” ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অবশ্য জানান, রোগীদের যেন সমস্যা না হয় সেটা দেখা হচ্ছে। গর্ভবতীদের বিনামূল্যে রক্তপরীক্ষা, বিনামূল্যে ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|