|
|
|
|
স্কুলবাস নিয়ে স্মারকলিপি সিপিএমের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
কোনও বাসের জানালা ভেঙে গিয়েছে। কোনওটার দরজা লঝঝড়ে। আবার কোনও বাসের পেছনের কাচ ভেঙে গিয়েছে। কোওনটির ইঞ্জিনের অবস্থা খারাপ। এই অবস্থাতেই শিলিগুড়িতে ছুটে বেড়াচ্ছে স্কুলবাস। এর মধ্যে প্রধাননগরের চম্পাসারিতে দুটি স্কুলবাসের সংঘর্ষে ৫ জন ছাত্রছাত্রী জখম হয়। তারপরে পুলিশ ও প্রশাসনের তরফ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও হয়নি কোনও কাজ। বুধবার তাই শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার আনন্দ কুমারের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে স্কুল বাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাল সিপিএম। সিপিএমের শিলিগুড়ি-২ নম্বর লোকাল কমিটির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া কতগুলি গাড়িকেও স্কুলবাস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া বেশ কিছু স্কুলবাসের চালকের লাইসেন্স নেই। লোকাল কমিটির সম্পাদক সঞ্জয় টিব্রুয়াল বলেন, “স্কুলবাসগুলির হাল না ফেরানো পর্যন্ত আন্দোলন চালানো হবে।”
শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি ওই ব্যপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, “স্কুলবাস নিয়ে বেশ কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। সম্প্রতি চম্পাসারিতে দুটি স্কুলবাসের দুর্ঘটনায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। গাড়ি দুটিকে আটক করার পাশাপাশি চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে।” তিনি জানান, শীঘ্রই স্কুল বাসগুলির মালিকদের নিয়ে বৈঠক করবেন কমিশনার। সেখানে পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরাও থাকবেন। বৈঠকে সবাইকে সতর্ক করে দেওয়া হবে। তার পরেও সমস্যা না মিটলে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, শিলিগুড়ি শহর ও সংলগ্ন এলাকায় কমপক্ষের ৩০০টির বেশি স্কুল রয়েছে। প্রতিদিন কয়েক হাজার স্কুল ছাত্রছাত্রী যাতায়াত করে। এর জন্য ১৩০টির বেশি স্কুলবাস শহরে চলাচল করে। দীর্ঘদিন ধরে ওই বাসগুলি নিয়ে অভিভাবকরা সরব হয়েছেন। কিন্তু স্কুল বা বাস মালিককোনও তরফেই ব্যবস্থা নেয়নি কেউ। সম্প্রতি চম্পাসারিতে দুর্ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হয়। আটক করা দু’টি স্কুল বাসের মধ্যে একটির চালকের লাইন্সেস না থাকায় উদ্বিগ্ন পুলিশ কর্তারাও।
আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন নর্থ বেঙ্গল গার্ডিয়ান ফোরাম। সংগঠনের পক্ষে সন্দীপন ভট্টাচার্য বলেন, “১৯৭১ সালের বাস স্কুলে চালানো হচ্ছে। বেশ কিছু বাস শিলিগুড়ি বাস সিন্ডিকেট বাতিল করে দিয়েছে, সেগুলি চলছে স্কুলে। আর অবসরপ্রাপ্ত চালকরা স্কুলবাস চালাচ্ছেন। যে কোনও সময় বড় ধরণের বিপদ হতে হতে পারে। প্রশাসন যদি উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেয় তা হলে আন্দোলনে নামা ছাড়া কোনও পথ নেই।” |
|
|
|
|
|