|
|
|
|
সভাধিপতির ঘরের সামনে বিক্ষোভ দলেরই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
গ্রামের রাস্তা, কালভার্ট, পানীয় জল সরবরাহের কাজ দ্রুত শেষ করার দাবিতে নিজেদের দখলে থাকা জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাল সিপিএম। বুধবার দুপুরে বামফ্রন্ট পরিচালিত জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতির ঘরের সামনেই বিক্ষোভ দেখায় সিপিএমের খড়িয়া লোকাল কমিটি। তাঁদের দাবি খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দুটি বুথে রাস্তা ও কালভার্টের কাজ দীর্ঘ দিন আগে শুরু হলেও শেষ হয়নি। বছরখানেক আগে দেবনগরের পানীয় জল প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও জল সরবরাহ শুরু হয়নি। বিদ্যুতের কাজ নিয়েও টালবাহানা চলছে। পরে সিপিএমের তরফে দাবিগুলি জানিয়ে একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয় জেলা পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসককে।
কাজ ফেলে রাখার অভিযোগ তুলে কী নিজেদের দলের জেলা পরিষদের বিরুদ্ধেই অনাস্থা প্রকাশ করা হল? সিপিএমের খড়িয়া লোকাল কমিটির সম্পাদক পীযূষ মিশ্রের জবাব, “সংবাদমাধ্যম নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গিতে বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে পারেন। আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি অতিরিক্ত জেলাশাসককে। সভাধিপতি তো সিদ্ধান্ত নেবেন রূপায়ণ করার দায়িত্ব আধিকারিকদের।”
অতিরিক্ত জেলাশাসক দিব্যেন্দু দাসের বক্তব্য, “স্মারকলিপি পেয়েছি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব।” আর সভাধিপতি দীপ্তি দত্তের কথায়, “ওঁরা আমার কাছে আসেনি। অতিরিক্ত জেলাশাসককেই স্মারকলিপি দিয়েছে। হয়তো ওই এলাকায় কোনও কাজ শেষ করতে গাফিলতি হয়েছে। সেজন্যই বিক্ষোভ দেখিয়েছে।”
তবে, তৃণমূলের জেলা সভাপতি চন্দন ভৌমিকের কটাক্ষ, “এর থেকে প্রমাণিত যে গত ৫ বছরে জেলা পরিষদ কী কাজ করেছে। পরিষদের সমস্ত কাজের নজরদারি করার দায়িত্ব তো সভাধিপতিরই। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই মুখরক্ষার উপায় খুঁজতেই সিপিএম স্মারকলিপি দিচ্ছে।” আর জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহন বসুর টিপ্পনি, “এ বার জেলা সিপিএম হয়তো নিজেদের সভাধিপতির বিরুদ্ধেই অনাস্থা আনবে।”
সিপিএমের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক কৃষ্ণ বন্দোপাধ্যায় বলেন, “আমি বিষয়টি জানি না। তবে আমাদের সরকার বা প্রশাসন থাকলে যে আমরা আন্দোলন করি না তা তো নয়। কাজে যাঁরা বাঁধা দিচ্ছে তাঁদের বিরুদ্ধেই এই আন্দোলন।” |
|
|
|
|
|