|
|
|
|
প্রশ্নপত্র বাজারে, হাই-মাদ্রাসার পরীক্ষা পিছোল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ায় পিছিয়ে গেল হাই-মাদ্রাসার (দশম শ্রেণি) ইংরেজি পরীক্ষা। আজ, বৃহস্পতিবার ওই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। আজ আলিম ও ফাজিলের যে-সব পরীক্ষা ছিল, তা-ও পিছোনো হয়েছে বলে মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবারের বাতিল পরীক্ষা হবে ১২ মার্চ, মঙ্গলবার। হাই-মাদ্রাসা পরীক্ষা দিচ্ছে ৪৮ হাজার ২১৫ জন ছাত্রছাত্রী।
মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ সূত্রের খবর, হাই-মাদ্রাসার ইংরেজি প্রশ্নপত্র বিভিন্ন জায়গায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বলে বুধবার অভিযোগ ওঠে। একটি প্রশ্ন পর্ষদের কাছেও পৌঁছয়। এর পরে মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে, মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে ইংরেজি প্রশ্নের প্যাকেট খুলে প্রশ্নপত্র আনা হয় পর্ষদে। দেখা যায়, ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র এবং পরীক্ষার প্রশ্নে মিল প্রচুর। তার পরেই পর্ষদের কর্তারা পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এত কিছুর পরেও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর অবশ্য প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে বলে মানতে রাজি নয়। দফতরের সচিব সইদুল ইসলামের দাবি, অনিবার্য প্রশাসনিক কারণেই পরীক্ষা পিছোতে হচ্ছে।
মাধ্যমিক চলাকালীন প্রায় প্রতিদিনই গণটোকাটুকির ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া নতুন পাঠ্যক্রমের ছাত্রছাত্রীদের পুরনো পাঠ্যক্রমের প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া, ভুল ও বিভ্রান্তিকর প্রশ্ন, প্রশ্নপত্রে বানান ভুলের অভিযোগে জেরবার হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আগামী সপ্তাহে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক। গণটোকাটুকি রুখতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকে নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
এরই মধ্যে হাই-মাদ্রাসার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ায় অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে রাজ্য সরকার। চূড়ান্ত গোপনতার মধ্যে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি ও ছাপা হওয়ার কথা। তা সত্ত্বেও কী ভাবে প্রশ্ন ফাঁস হল? মাদ্রাসা পর্ষদের সভাপতি ফজলে রব্বি বলেন, “এ ব্যাপারে এখনই কিছু বলা যাবে না।”এ বিষয়ে আলোচনার জন্য বুধবার সন্ধ্যায় মহাকরণে যান পর্ষদের কর্তারা। তার পরে সাংবাদিক বৈঠক করে মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের সচিব সইদুল বলেন, “অনিবার্য প্রশাসনিক কারণে পরীক্ষা পিছোনো হচ্ছে।” পরে বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “সংবাদমাধ্যমে প্রশ্নপত্র নিয়ে কিছু খবর প্রকাশিত হওয়ায় ছাত্রছাত্রীরা বিভ্রান্ত। তাই এই সিদ্ধান্ত।” তা হলে কি প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি? সইদুলের জবাব, “প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে কি না, সেটা তদন্তসাপেক্ষ।” |
|
|
|
|
|