আসন-রফা নিয়ে হোঁচট বামফ্রন্টে
শাসক পক্ষে থাকার সময় গত বার পঞ্চায়েত ভোটে আসন বণ্টন নিয়ে নজিরবিহীন কাজিয়া হয়েছিল বাম শরিকদের মধ্যে। বিরোধী পক্ষে গিয়ে এ বার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আটকাতে মরিয়া বামফ্রন্টের রাজ্য নেতৃত্ব। কিন্তু নিচু তলায় বাম শরিকদের মধ্যে আসন ভাগাভাগির আলোচনা নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনে এগোচ্ছে না। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু যা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন, তার মধ্যে মহকুমা ও জেলা স্তরে আসন-রফা শেষ হবে কি না, সংশয় দেখা দিয়েছে ফ্রন্টেই। এমনকী, ক্ষমতা হারালেও নিচু তলায় সিপিএম নেতা-কর্মীদের আচরণে বিশেষ পরিবর্তন হয়নি বলেও শরিকদের একাংশের অভিযোগ।
বামফ্রন্টের শেষ বৈঠকে বিমানবাবু নির্দেশ দিয়েছিলেন, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েত পর্যায়ের আসন ভাগাভাগির আলোচনা জেলা স্তরে শেষ করে ফেলতে হবে ৭ মার্চের মধ্যে। জেলা স্তরের আলোচনা ১০ তারিখের পরে ফেলে রাখা যাবে না। সব শরিক দলকে জেলা থেকে আসন বণ্টনের রিপোর্ট নিয়ে রাজ্য ফ্রন্টে জমা দিতে হবে ১৪ মার্চের মধ্যে। তার পরে ১৭ মার্চ ফ্রন্টের পরবর্তী বৈঠক বসবে। এখনও পর্যন্ত কোনও শরিক দলের কাছেই জেলা থেকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আসেনি। তবে জেলা নেতৃত্বের কাছ থেকে তাঁরা যা খবর পাচ্ছেন, তাতে বেশ কিছু জায়গাতেই সমস্যা রয়ে যাচ্ছে। বিশেষত, দক্ষিণবঙ্গে।
সদ্য বিধানসভা উপনির্বাচনে নলহাটি পুনরুদ্ধার করতে পেরে বাম শরিকদের মধ্যে এখন সব চেয়ে উজ্জীবিত ফরওয়ার্ড ব্লক। তাদের সঙ্গে মালদহ, পুরুলিয়া, বর্ধমান, হুগলির মতো জেলায় এখনও আসন-রফার কাজ হয়নি। ফ ব-র রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের বক্তব্য, “এ বার অনেক তাড়াতাড়ি এই আলোচনা মিটে যাওয়ার আশা ছিল। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সেটা হচ্ছে না। শরিকদের কয়েকটা আসন ছেড়ে দিলাম, এই রকম মনোভাব নিয়ে এ বার আর হবে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে কোথাও কোথাও সেই একই জিনিস চলছে!” আরএসপি সূত্রের খবর, বর্ধমান, বাঁকুড়া, জলপাইগুড়ির একাংশে আসন মীমাংসা এখনও বকেয়া আছে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বরং সিপিএমের সঙ্গে শরিকদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চলছে। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় বুধবারই আসন সংক্রান্ত আলোচনা ছিল বামেদের। সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, “পাঁশকুড়া নিয়ে কথা হলেও পূর্ব মেদিনীপুরের কিছু অংশে এখনও আলোচনা মেটেনি। বর্ধমান, বাঁকুড়ায় বাকি আছে। কোথায় কোথায় রাজ্য নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ দরকার হবে, এখনও বুঝতে পারছি না। আশা করছি, কয়েক দিনের মধ্যে ছবিটা আর একটু পরিষ্কার হবে।” উত্তর দিনাজপুরে গত বার তাদের দাবি উড়িয়ে দেওয়ার ফলেই জেলা পরিষদ হাতছাড়া হয়েছিল বলে দাবি সমাজবাদী পার্টির। এ বার তারাও ‘সুষ্ঠু নিষ্পত্তি’ চায়। আলিমুদ্দিনের অবশ্য আশা, সময়সীমা মানতে কিছু অসুবিধা থেকে গেলেও প্রয়োজনে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করে সমস্যা মিটিয়ে ফেলা যাবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.