|
|
|
|
একগুচ্ছ দাবিতে পথ অবরোধ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
একগুচ্ছ দাবিতে ভগবানপুর-গোয়ালাপুকুর রাস্তা অনির্দিষ্ট কালের জন্য অবরোধের ডাক দিয়ে বুধবার সকাল থেকে আন্দোলনে নামলেন ভগবানপুর ১ ব্লকের মহম্মদপুর ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা। দাবিগুলি হল— ভগবানপুর থেকে কাঁটাখালি পর্যন্ত পাকা রাস্তা তৈরি, কংক্রিটের সেতু নির্মাণ ও বিদ্যুৎ সংযোগের। অবরোধের জেরে বাজকুল-গোয়ালপুকুর রুটের ১৬টি ট্রেকার, গোয়ালপুকুর-মেচেদা রুটের কয়েকটি বাস ছাড়াও বন্ধ রয়েছে মোটর চালিত রিকশা চলাচল। গ্রামবাসীরা জোর করে বন্ধ করে দিয়েছেন কেলেঘাই নদী সংস্কারের কাজে মাটি বহনকারী ট্রাক্টর, ইটভাটার গাড়ি চলাচলও। এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন ওই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত যাতায়াতকারী ভগবানপুর ১, সবং, ময়না ও চণ্ডীপুর ব্লক এলাকার একাংশের মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা তৃণমূল সমর্থক ভূপালচন্দ্র মণ্ডল, সন্তোষ হাইত, কংগ্রেস সমর্থক রাধাশ্যাম জানা, সিপিএম সমর্থক রবীন কর্মকারদের দাবি, বারবার প্রশাসন ও ত্রি-স্তর পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন। ভগবানপুর ১ ব্লকের বিডিও উমাশঙ্কর দাস বলেন, “সমস্যাগুলি সমাধানের চেষ্টা চলছে। যে কোনও উন্নয়নের কাজ সময় সাপেক্ষ। পুলিশকে অবরোধ তুলে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।”
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সাতের দশকে ভগবানপুর থেকে কাঁটাখালি পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার পাকা রাস্তা করার জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়। ভগবানপুর থেকে গোয়ালাপুকুর পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করা হলেও বাকি রাস্তা এখনও মাটিরই রয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, মহম্মদপুর, জালপাই, তিরাইপুর, নিমকবাড়, খাগা প্রভৃতি গ্রামের কয়েক’শো জমিদাতা এখনও ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি। রাস্তা পাকা করা ও বকেয়া ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি করেছেন গ্রামবাসীরা। এ ছাড়াও রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগের দাবি। বিপিএল তালিকা তৈরির সময় ব্যাপক ত্রুটি থাকায় মহম্মদপুর গ্রামে এখনও প্রায় পাঁচশো পরিবার বিদ্যুৎ সংযোগ পাননি। এলাকাটি আবার জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ স্বপন রায়ের নির্বাচনী এলাকায় হওয়ায় ক্ষোভ আরও বেড়েছে। স্বপনবাবু বলেন, “ওই গ্রামের মাত্র কয়েকটি পরিবার বিপিএল তালিকাভুক্ত হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়া, ঠিকাদার কাজে দেরি করছেন।”
এদিকে, কাঁটাখালিতে ভগবানপুর ও সবংকে যুক্ত করা এবং ট্যাংরাখালিতে ভগবানপুর ও ময়নাকে যুক্ত করার জন্য কেলেঘাই নদীর উপর দুটি কংক্রিটের সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘ দিনের। কিন্তু, এ ব্যাপারে প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ। অথচ, সেতু দু’টি হলে দুই মেদিনীপুরের সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষদের নিত্য যাতায়াতের জন্য ৩০-৫০ কিলোমিটার রাস্তা কম ঘুরতে হবে। প্রশাসনের অবশ্য বক্তব্য, সেতু নির্মাণ করতে বিশাল অঙ্কের টাকা প্রয়োজন। যা আপাতত যোগাড় করা সম্ভব নয়। |
|
|
|
|
|