চ্যালেঞ্জ কাপে চ্যালেঞ্জ প্রায় শেষ |
মায়ানমার ১ (সি মিন ও)
ভারত ০ |
হায়দরাবাদের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারল না ভারত। মায়ানমারের কাছে হেরে এ এফ সি চ্যালেঞ্জ কাপ থেকে কার্যত বিদায় নিলেন সুনীল ছেত্রী-মেহতাব হোসেনরা। কার্যত শব্দটা লিখতে হচ্ছে এই কারণে যে, নিয়মানুয়াযী টুর্নামেন্টের সব গ্রুপের খেলা শেষ হওয়ার পর সেরা দুই রানার্স দল যাবে মূল পর্বে। সে ক্ষেত্রে দেখা হবে পয়েন্ট ছাড়াও, গোল পার্থক্য। এবং তাতে ভারত সুযোগ পেল কি না জানা যাবে সব গ্রুপের খেলা শেষ হওয়ার পর।
নেহরু কাপে জিতে ডাচ কোচ ‘উইন’ কোভারম্যান্স হয়েছিলেন। এ এফ সি চ্যালেঞ্জ কাপে তিনি রয়ে গেলেন উইম কোভারম্যান্স-ই। বরং তাঁকে ঘিরে প্রশ্ন উঠে গেল ইয়াঙ্গনেই। কেন রহিম নবির মতো আক্রমণাত্মক তারকা ফুটবলারকে রিজার্ভ বেঞ্চে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা হল তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। খেলা শেষ হওয়ার আট মিনিট আগে ফ্রান্সিসের বদলে নামেন নবি। ম্যাচের পর কোভারম্যান্স হারের জন্য নিজেদেরই দায়ী করেছেন। বলে দিয়েছেন, “হারের জন্য আমরাই দায়ী। মায়ানমারের পক্ষে এটা ছিল জেতার লড়াই। আমরা সেটা মনে রাখিনি।” পাশাপাশি ডাচ কোচের মন্তব্য, “আমরা তিনটে সুযোগ পেয়েছি। একটা পোস্টে লেগেছে। মায়ানমারের বিরুদ্ধে যদি এত সুযোগ নষ্ট হলে জেতা যায় না।”
ইয়াঙ্গনে ম্যাচের আগে সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল ভারত। ড্র করলেই মূল পর্ব নিশ্চিত ছিল, সেই ম্যাচই হেরে গেলেন সুব্রত পালরা। পঁচাত্তর মিনিট পর্যন্ত গোলশূন্য ছিল ম্যাচ। মনে হচ্ছিল অমীমাংসিতই থেকে যাবে ‘যুদ্ধ’। কিন্তু বাঁ দিক থেকে আসা একটি ক্রস শেষ করে দিল কোভারম্যান্সের দলের সব আশা। ছয় গজের বক্সে দাঁড়িয়ে গোল করে যান ময়নামারের বদলি ফুটবলার সি মিন ও।
টিম মিটিংয়ে কোভারম্যান্স বলেছিলেন, ড্র-এর লক্ষ্য নয়, জেতার ইচ্ছে নিয়েই নামবে ভারত। কিন্তু মাঠে তাঁর স্ট্র্যাটেজি ছিল রক্ষণ করতে করতে পাল্টা আক্রমণের। অর্থাৎ আলট্রা ডিফেন্সিভ। ফলে শুরুতেই মাঝমাঠ দখল নিয়ে নেন উদ্যোক্তা মায়ানমারের ফুটবলাররা। দেশকে জেতাতে এ দিন স্টেডিয়ামে এসেছিলেন প্রচুর দর্শক। তাঁরা সারাক্ষণ চিৎকার করে তাতিয়ে গিয়েছেন দেশকে। বাজিয়েছেন ড্রাম, তাসা। ডেভিড হাতেন, কুয়ান জায়েররাও বেশ কয়েকটি সহজ গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে পারেননি তাঁরা। ক্লিফোর্ড মিরান্ডা, সুনীল ছেত্রী, জুয়েল রাজারাও সুযোগ পেয়েছিলেন। ম্যাচের শেষ দিকে আরাতার একটি শট গোললাইন থেকে ফেরান মায়ানমারের ডিফেন্ডার জাও মিন।
ভারত: সুব্রত, ডেঞ্জিল, গৌরমাঙ্গী, রাজু, গুরজিন্দার, ফ্রান্সিস (নবি), লেনি (আরাতা), মেহতাব, ক্লিফোর্ড, জুয়েল (রবিন), সুনীল। |