ম্যান ইউয়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে ফেরার জল্পনা বাড়ালেন রোনাল্ডো |
এমন হাইভোল্টেজ জয়ের গোল! অথচ মহাতারকা গোলদাতা উচ্ছ্বাসহীন!
রিয়াল মাদ্রিদকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে দিয়েও এতটা ভাবলেশহীন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো! ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে হতাশার মাঝেও তাই শুরু গুঞ্জন। তা হলে কি এই জয়ে খুশি নন সিআর সেভেন?
মাঠের বাইরে তখন ফুঁসছেন স্যর অ্যালেক্স ফার্গুসন। তুরস্কের রেফারি, যিনি তাঁর টুইটারে ‘ফলো’ করেন স্পেন, বার্সেলোনা, রোনাল্ডো, মেসিকে, কোনও ইপিএল ক্লাব বা ফুটবলারকে নয়, সেই কুনেইট সাকিরের নানিকে দেখানো লাল কার্ডের সিদ্ধান্তে রাগে প্রায় পাগল ম্যান ইউয়ের ঠোঁটকাটা ‘বস’। |
কিন্তু পুরনো গুরুর দলকে হারানোর পরেও হাসি নেই কেন রোনাল্ডোর ঠোঁটে? গোলের পর থেকেই টিভি ক্যামেরা অনুসরণ করছিল তাঁর পুরনো শিষ্যকে। উদ্দেশ্য, কয়েকশো কোটি ইউরোর ওই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা। আর সবাইকে অবাক করে দেওয়া স্বয়ং রোনাল্ডোর উত্তরটা আরও বিস্ময়কর। গোল করার জন্য ক্ষমা চেয়ে তিনি বলছেন, “সরি! ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের জন্য খারাপ লাগছে। আমি তো আমার কাজটা করেছি। নিজের দলের জন্য আমি খুশি। এই প্রথম পরিস্থিতির কাছে মাথা নোয়াতে হল আমাকে। আসলে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে রেখে যাওয়া বহু স্মৃতি আর আবেগ আমাকে জড়িয়ে ধরেছিল। তাই স্বচ্ছন্দে খেলতেও পারছিলাম না।”
কিন্তু গোলের পর সেই পরিচিত উচ্ছ্বাস নেই কেন? তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন রোনাল্ডো, “শ্রদ্ধায়। এত বছর ধরে এখানকার মানুষের ভালবাসা পেয়েছি। সেগুলো ভুলতে পারিনি। এটা অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, রিয়ালের জয়ে আমি খুশি হলেও এই ম্যাচে জয় ম্যাঞ্চেস্টারেরই প্রাপ্য ছিল।”
শুধু রোনাল্ডো নন, রিয়াল কোচ মোরিনহোও স্বীকার করছেন, “ভাল দলটাই হারল”। তাঁর কথায়, “ওদের সামনে যে সমস্যাটা তৈরি করেছিলাম, দশ জনে সেই সমস্যার মোকাবিলা ওরা করতে পারেনি। কিন্তু দ্বিতীয় গোলের পরও বল ওদেরই দখলে ছিল বেশি।”
সাংবাদিকদের সামনে আসেননি ক্ষুব্ধ ফার্গুসন। পাঠিয়ে দেন তাঁর সহকারিকে। কিন্তু এমন মহা-ম্যাচে প্রথম দলে রুনি নন কেন? ফার্গির সহকারি মাইক ফেলান বলছেন, “রিয়ালের ‘কন্ট্রোলার’ জাবি আলোন্সোকে চাপে রাখতে ওয়েলবেককে শুরু থেকে নামানোর জন্য।” কিন্তু এই সিদ্ধান্তে ম্যান ইউ-তে রুনির ভবিষ্যতের উপরই কালো মেঘ জমতে শুরু করল না তো? মঙ্গলবার রাতে শুরু এই জল্পনার বেলুনে হাওয়ার জোগান দিল প্রাক্তন ক্লাবের প্রতি রোনাল্ডোর ‘শ্রদ্ধা’। |