নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
হঠাৎ কেন চিঠি? কলেজ সূত্রে খবর, মাঠের সব কাগজপত্র চেয়ে পাঠিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুধীন্দ্রনাথ বাগ বলেন, “ঠিক ছিল বুধবারই শিলান্যাস অনুষ্ঠান হবে। মার্চের মধ্যে কাজ শুরু না হলে বরাদ্দ অর্থ ফেরত চলে যেতে পারে। সেই মতো মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তার আগে এই চিঠি। ফলে অনুষ্ঠান স্থগিত রাখতে হয়।” অন্য কর্মসূচিতে যোগ দিতে এ দিন সৌমেনবাবু শহরে এসেছিলেন। তাঁর কথায়, “মঙ্গলবার রাতে জানতে পারি, মেদিনীপুর কলেজের ওই অনুষ্ঠান হচ্ছে না।” অতিরিক্ত জেলাশাসকের ওই চিঠি এসে পৌঁছেছে মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক দিলীপ দাসের কাছেও। দিলীপবাবু বলেন, “মাঠের কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হয়েছে। শীঘ্রই ওই কাগজপত্র জমা দেওয়া হবে।” মেদিনীপুর কলেজের পরিচালন সমিতি সভাপতি তথা মেদিনীপুরের পুরপ্রধান প্রণব বসু বলেন, “মাঠটি লিজে রয়েছে। লিজের কাগজপত্র রিনিউ করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব ওই কাগজপত্র রিনিউ করা যায়, তার চেষ্টা হচ্ছে।”
মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) বরাদ্দ করা প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকায় সুইমিং পুল এবং মাল্টিজিম তৈরির কথা কলেজ মাঠের একদিকে। মার্চ মাসের গোড়ায় কলেজ অধ্যক্ষের কাছে একটি চিঠি আসে। অতিরিক্ত জেলাশাসকের ওই চিঠি পৌঁছনোর পর কলেজ পরিচালন সমিতির বৈঠক ডাকা হয়। গত সোমবারের ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, মঙ্গলবার অতিরিক্ত জেলাশাসকের কাছে মাঠের কাগজপত্র জমা দেওয়া হবে। মঙ্গলবারই আরও একটি চিঠি দিয়ে জানানো হয়, মাঠে কোনও নির্মাণ কাজ করা যাবে না। এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে নির্দেশ ছিল, জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোনও কাজ করা যাবে না। সে ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দে সমস্যা হতে পারে। জেলা প্রশাসনের অনুমতি পেয়েই দরপত্র আহ্বান করা হয়। কলেজ সূত্রে খবর, হস্টেল ক্যাম্পাসে সুইমিং পুল ও মাল্টিজিম গড়তে চেয়ে ইউজিসি’র কাছে একটি নির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। সব দিক খতিয়ে দেখে প্রস্তাব মঞ্জুর করে ইউজিসি।
তবে জমি নিয়ে বিতর্কের জেরে আপাতত প্রকল্প শিকেয়। |