নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীরামপুর ও হাওড়া |
গুরুতর জখম অবস্থায় রবিবার ভোরে হাওড়া স্টেশনে আদ্রা-চক্রধরপুর প্যাসেঞ্জার ট্রেন থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল স্বরূপ শ্রীমানি (৩২) নামে শ্রীরামপুরের যুবককে। মঙ্গলবার এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হল। পরিবারের লোকজনের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু হয়েছে।
রেল পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অবিবাহিত যুবকটি বাড়িতে কম্পিউটারের কাজ করতেন। তাঁর বাড়ির লোকেরা রেল পুলিশকে জানিয়েছেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি আসানসোলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। রবিবার ভোর তিনটে নাগাদ দাদা অরূপের মোবাইলে ফোন করে তিনি জানান, তিনি ট্রেনে হাওড়ায় ফিরছেন। তাঁরা যেন অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে হাওড়া স্টেশনে আসেন। তিনি আহত। আসানসোলে অপরিচিত কিছু যুবক তাঁকে মারধর করেছে। ওই ফোন পেয়ে অরূপ মাকে নিয়ে ঘণ্টা খানেকের মধ্যে অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছন। ১৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা আদ্রা-চক্রধরপুর প্যাসেঞ্জার ট্রেন থেকে স্ট্রেচারে চাপিয়ে স্বরূপকে নামান বাড়ির লোকেরা। এর পরে যুবকটিকে হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় রেল পুলিশের সাহায্যে। তাঁর মুখ-সহ দেহের নানা জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাঁকে স্থানান্তরিত করানো হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মঙ্গলবার সরানো হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। মঙ্গলবারই অরূপ ভাইকে খুনের অভিযোগ করেন হাওড়া রেল পুলিশের কাছে।
তদন্তকারীরা মনে করছেন, ওই যুবককে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। প্রাণ বাঁচাতে তিনি ট্রেনে উঠে পড়েন। হাওড়া রেল পুলিশের সুপার মিলনকান্ত দাস বলেন, “যুবকটি ঠিক কোথায় গিয়েছিলেন, কেনই বা তাঁকে ওই ভাবে মারধর করা হল, তা পরিষ্কার নয়। তদন্ত হচ্ছে।” |