|
|
|
|
রাস্তা তৈরির কৃতিত্ব নেবে কে, তরজায় শুরুই হয়নি কাজ |
নুরুল আবসার • ডোমজুড় |
রাস্তা মেরামতির জন্য টাকা এসে গিয়েছে অনেক দিন। কিন্তু রাস্তা তৈরির কৃতিত্ব দাবি করবে কে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপান-উতোর। সিপিএম-শাসিত হাওড়া জেলা পরিষদ এবং তৃণমূলের সেচমন্ত্রীর মধ্যে তরজার জেরে রাস্তা তৈরির কাজ আপাতত বিশ বাঁও জলে। উভয়পক্ষই দ্বারস্থ হয়েছেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের।
ডোমজুড়ের পশ্চিম নারনা থেকে ভাস্কুর বেলতলা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার রাস্তার হাল বেশ খারাপ। ‘গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিল’ (আইআরডিএফ) প্রকল্পে রাস্তা মেরামত করার জন্য রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর ৪ কোটি ২২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে। গত ২ জানুয়ারি এই দফতর জেলা পরিষদকে চিঠি দিয়ে টাকা বরাদ্দ হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে অবিলম্বে তাদের টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেয়। সমস্যার সুত্রপাত এর পর থেকেই।
রাস্তাটি রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভাকেন্দ্র ডোমজুড়ের অধীন। জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে রাজীববাবু জানান, জেলা পরিষদের হাত দিয়ে যেন রাস্তার কাজটি না-হয়। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর সরাসরি কাজটি করবে। ‘স্টেট ফান্ড’-এর টাকায় কাজটি করা হবে বলে জেলাশাসককে জানান সেচমন্ত্রী।
এই চিঠি পেয়ে জেলাপরিষদকে টেন্ডার প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন জেলাশাসক শান্তনু বসু। একইসঙ্গে জগৎবল্লভপুর এবং শ্যামপুর ২ ব্লকের তিনটি রাস্তা আরআইডিএফ প্রকল্পে মেরামতির জন্য টাকা বরাদ্দ করেছে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর। এগুলির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা পরিষদকেই। টেন্ডারও ডেকেছে জেলা পরিষদ। কিন্তু ডোমজুড়ের কাজটি আর হয়নি।
এ বিষয়ে সেচমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমিই অর্থ দফতর, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরে ছোটাছুটি করে রাস্তার টাকা বরাদ্দ করিয়েছি। সেই টাকায় কাজ করার দায়িত্ব যদি জেলা পরিষদকে দেওয়া হয় তা আমার পক্ষে মানা সম্ভব নয়। তা ছাড়া নারনা গ্রাম পঞ্চায়েতটি তৃণমূলশাসিত হওয়ায় জেলা পরিষদকে টাকা দিলেও তারা কাজটি সুষ্ঠ ভাবে করবে না। তাই জেলাশাসককে চিঠি দিয়েছি।”
জেলা সভাধিপতি মীনা ঘোষ মুখোপাধ্যায়ের পাল্টা বলেন, “২০১০ সাল থেকে আমরা রাস্তাটির জন্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের কাছে টাকা চাইছি। নিজস্ব তহবিলের টাকায় আমরা বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরে পাঠাই। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতেই টাকা বরাদ্দ হয়েছে। অথচ সেচমন্ত্রীর চিঠির পরে সব বানচাল হয়ে গেল।” |
|
|
|
|
|