|
|
|
|
শিক্ষকদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, অস্ত্র আইনে মামলা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
চুক্তি-শিক্ষকদের বিধানসভা অভিযানে হামলার প্রেক্ষিতে যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র এবং পুলিশ খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে। আজ বিধানসভায় জলসম্পদ মন্ত্রী বিজয় কুমার চৌধুরী এই কথা জানিয়েছেন। সেই সময় অবশ্য বিরোধী দলের সদস্যরা বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন না। আজ বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে রাজ্যপালের কাছে দরবার করেন। চুক্তি-শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে কাল বিহার বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। বিরোধীরা তাকে সমর্থন জানিয়েছে। সব মিলিয়ে আজও ছিল কালকের ঘটনার রেশ।
এ দিন অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে বিজয় কুমার চৌধুরী সরকারের বক্তব্য জানাতে গিয়ে বলেন, “কাল যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে। ধৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র এবং পুলিশ খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করা হবে।” এ দিকে, এখনও পর্যন্ত অস্থায়ী শিক্ষকদের সমস্যা সমাধানে সরকারের তরফে তেমন কোনও সদিচ্ছা না দেখানোয় বিরোধীরা এটাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে। বিরোধী দলনেতা আব্দুল বারি সিদ্দিকি বলেন, “এই সরকার লাঠি-গুলির সরকার। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের উপর সরকার হিটলারি মনোভাব দেখাচ্ছে। সরকার আমাদের কোনও কথা শুনতে চাইছে না। এই নিয়ে আমরা বিধানসভায় বিশেষ আলোচনা চাইছি।” একটি লিখিত আবেদনে আরজেডি-র ২৫ জন নেতা জানিয়েছেন: কালকের ঘটনায় বিহার বিধানমণ্ডলীর (পরিষদ এবং বিধানসভা) মান মর্যাদার ক্ষতি হয়েছে। আমরা আগেই সরকারকে এই বিষয়ে সংবেদনশীল হতে বলেছিলাম। শিক্ষকদের দাবি খতিয়ে দেখার আবেদন জানিয়েছিলাম। আজ সরকার এবং বিরোধীদের মধ্যে চাপান-উতোর শুরু হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিরোধীরা এটা নিয়ে রাজনীতি করছে। সরকার যথেষ্ট সহানুভূতিশীল বলে দাবি করেন পশুপালন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ। বিরোধীরা এই বক্তব্যকে আমল দেননি। তাদের বক্তব্য, এটা গণতন্ত্রের প্রশ্ন। সরকারই রাজনীতি করছে। এই ব্যাপারে সরকার কী পদক্ষেপ করছে, তা না জানিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তেই অটল থাকছে। বিরোধী দলনেতা বলেন, “পুলিশ কালকের ঘটনায় বর্বতার নিদর্শন রেখেছে।” |
|
|
|
|
|