|
|
|
|
অস্ত্র সমর্পণ করছে ডিমা হালাম জঙ্গিরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
এক সময়ে দক্ষিণ অসমে ত্রাস সৃষ্টি করেছিল যে ডিমা হালাম দাউগা (ডিএইচডি), ৯ মার্চ তারা আত্মসমর্পণ করবে। একই সঙ্গে সংগঠন ভেঙে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হবে। তবে এই অস্ত্র সমর্পণকে কোনও মতেই আত্মসমর্পণ বলতে নারাজ সংগঠনের সভাপতি দিলীপ নুনিসা। তিনি জানান, সরকারের আহ্বানে তাঁরা ২০০৩ সালে সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করে সরকার নির্মিত শিবিরে বসবাস শুরু করেন। এত দিন সমস্ত বেআইনি অস্ত্র তাদের কাছেই মজুত ছিল। এখন চুক্তি স্বাক্ষরের পর সেগুলি সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ফলে তা আত্মসমর্পণ নয়।
অস্ত্র সমর্পণ অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে, রাজ্যপাল জানকীবল্লভ পট্টনায়ক, মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ, বড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিলের প্রধান, হাগ্রামা মহিলারির উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বলে দিলীপ নুনিসা জানিয়েছেন। বিশেষ আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন গোর্খা কাউন্সিলের প্রধান বিমল গুরুঙ্গও।
তবে কত অস্ত্র তাঁদের হাতে রয়েছে তা এখনই প্রকাশে সম্মত নন দিলীপ। শুধু জানান, তাঁর সংগঠনে ১,১০০ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ক্যাডার রয়েছেন। এ ছাড়াও আছেন শ’চারেক সাধারণ কর্মী। সবাই সে দিন শিবির ছেড়ে বাড়িঘরে ফিরে যাবেন।
তবে সরকারের সঙ্গে চুক্তি মেনে ডিএইচডি ভেঙে দেওয়া হলেও দিলীপরা যে ডিমা হাসাওয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে জড়াচ্ছেন, এর ইঙ্গিত দিয়ে রাখেন আজ। তিনি বলেন, ক’মাসের মধ্যেই স্বশাসিত পরিষদ নির্বাচন হবে। তাতে তাঁরা নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। পরে পরিস্থিতি বুঝে
রাজনৈতিক দল গঠনের চিন্তা ভাবনা তাদের যে একেবারেই নেই এমন দাবি দিলীপরা করছেন না। বরং তাঁর বক্তব্য “বিষয়টি নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করছি।”
গত অক্টোবরে সরকারের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে ডিএইচডি-র দুই গোষ্ঠী। শর্ত ছিল, ৬ মাসের মধ্যে সংগঠন ভেঙে দেওয়া হবে। বিনিময়ে ডিমা হাসাওয়ে গঠিত হবে টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল। ২০০ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজও সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয় তখন। জুয়েল গারলোসা গোষ্ঠী অবশ্য ২৬ নভেম্বর তাদের সংগঠন ভেঙে দেয়। ৯ মার্চ দিলীপ নুনিসা গোষ্ঠীর পালা। |
|
|
|
|
|