জুগসলাই রেল সেতুর ঘোষণা উস্কে দিয়েছে স্থানীয় মানুষের আশা |
প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায় • রাঁচি |
ব্যস্ত রেলপথ। হামেশাই রেল গেট বন্ধ হয়ে যায়। আর তার জেরে শুরু হয় যানজট। দুস্কর হয়ে পড়ে পথ চলতি মানুষের যাতায়াত। যাঁদের তাড়া থাকে তাঁরা বিপদ মাথায় নিয়েই বন্ধ লেভেল ক্রসিং টপকে রেল লাইন পারাপার করতে যান। জামশেদপুরের জুগসলাইয়ে এ বার এই ছবিটা বদলাতে চলেছে।
লোকজনের নিরাপদ যাতায়াতের জন্য রেল বাজেটে এ বার জুগসলাই লেভেল ক্রসিং-এর উপরে রেল ওভার ব্রিজ তৈরির প্রকল্পটি ঠাঁই পেয়েছে। আর তাতেই এই মুহূর্তে খুশির হাওয়া বইছে জামশেদপুরে। এলাকার মানুষের কাছে দীর্ঘদিনের চাহিদা ছিল এই ওভার ব্রিজটি। স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, ত্রিশ বছর ধরে এই ধরনের একটি ওভার ব্রিজের প্রয়োজন ছিল ওই এলাকায়। |
|
নাভিশ্বাস। জুগসলাই রেল গেটের যানজটে নাকাল জামশেদপুরবাসী। ছবি: পার্থ চক্রবর্তী |
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের চক্রধরপুর ডিভিশনের অধীনে রয়েছে জুগসলাই। ওই লাইনটি অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম লাইন। জায়গাটি টাটানগর স্টেশন ও রাজনগরের মাঝে অবস্থিত। হাওড়া থেকে, নয়তো টাটা থেকে মুম্বইয়ের মধ্যে অজস্র ট্রেন দিনের বিভিন্ন সময়ে ওই লাইনে যাতায়াত। এ ছাড়াও আরও অন্যান্য ট্রেন তো রয়েছেই। ফলে দিনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ওই লেভেল ক্রসিং বন্ধ থাকে। অন্য দিকে জামশেদপুরের লাগোয় জুগসালাই, বাগবেরা জিলিংগোরা, হরহরগুট্টু-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে প্রতিদিনই ওই লেভেল ক্রসিং পেরিয়েই নিজস্ব গন্তব্যে যেতে হয়। কেউ পায়ে হেঁটে, কেউ সাইকেলে অথবা বাইকে। কেউ আবার গাড়িতে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন বড় বড় সংস্থার কারখানায় যাতায়াতের জন্য শ্রমিকদের ভরসা এই রাস্তাই। ফলে এই জায়গায় ওভার ব্রিজ আরও অনেক আগেই তৈরি করা উচিত ছিল বলেই মনে করেন এখানকার মানুষ। ঘোষিত রেল ওভার ব্রিজের উপর দিয়ে গাড়ি চলাচলও করবে। চক্রধরপুর রেলওয়ে ডিভিশনের অফিসাররা জানান, কুড়ি কোটি টাকা ওই রেল ওভার ব্রিজ তৈরির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। দুই থেকে তিন বছর সময় লাগবে ওই রেল ওভার ব্রিজ তৈরি করতে। রেল বাজেটে ওই রেল ওভার ব্রিজের জন্য টাকা বরাদ্দ করাতে জামশেদপুরের জেভিএম সাংসদ অজয় কুমারের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলেই জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। সাংসদের কথায়, “অনেক দিন ধরে লড়াই করার পরে সাফল্য এসেছে। এটা সত্যিই খুব আনন্দের যে কেন্দ্রীয় সরকার এখানকার মানুষের বিপদের বিষয়টি অনুভব করতে পেরেছে। ওভার ব্রিজটি তৈরি হয়ে গেলে অন্তত তিন লক্ষ মানুষের উপকার হবে।” |
|