|
|
|
|
কাজের মান নিয়ে সরব বাসিন্দারা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খয়রাশোল |
রাস্তা মেরামতি না করিয়েই খরচ দেখানোর আভিযোগ উঠল খয়রাশোল ব্লকের খয়রাশোল পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। ওই পাঞ্চায়েতর লাউবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দদের একাংশের আভিযোগ, গ্রামেরই সনথ নন্দীর দোকান থেকে বাউড়ি পাড়া পর্যন্ত শ’ দেড়েক মিটার একটি রাস্তা মেরামতির জন্য ৬৭ হাজার টাকা স্থানীয় পঞ্চায়েত খরচ দেখালেও ওই রাস্তাটিতে কোনও কাজ হয়নি। শুধু তাই নয়, গ্রামেরই আন্য দু’টি ঢালাই রাস্তার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে পঞ্চায়েত প্রধান ও খয়রাশোলের বিডিও-র কাছে সম্প্রতি আবেদন জানিয়েছেন কিছু গ্রামবাসী। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। খয়রাশোল পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা ওই গ্রামেরই নির্বাচিত সদস্য ভূপেন ঘোষ আভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।
বিডিও মহম্মদ ইসরার বলেন, “আভিযোগ যখন হয়েছে অবশ্যই তদন্ত হবে। আভিযোগকারীদের বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
লাউবেড়িয়া গ্রামের সৌমেন সামন্ত, সনাতন সূত্রধর, সমীর মণ্ডল এবং সন্তোষ বক্সিরা অবশ্য উপপ্রধানের বক্তব্য মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, “শুধু এই রাস্তা মেরামতি না হওয়াই নয়, গ্রামেরই আরও (একটি কামারপাড়া দুর্গা মন্দির থেকে মুচিপাড় এবং পবিত্রা অধিকারি-র বাড়ি থেকে নমিতা দত্তের বাড়ি পর্যন্ত) দু’টি রাস্তা, যেগুলি ইতিমধ্যেই ঢালাই হয়েছে সেগুলির মানও অত্যন্ত খারাপ।” উপপ্রধানের পাল্টা দাবি, “গ্রামের সামান্য কয়েকজন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ওই অভিযোগ করেছেন। প্রত্যেকটি রাস্তার কাজ নিয়ম মেনেই হয়েছে। তা ছাড়া ঢালাই রাস্তাগুলি ২০০৯-১০ এবং রাস্তা মেরামতির কাজ ১০-১১ অর্থবর্ষে হয়েছে। এত দিন পরে অভিযোগ তোলার কোনও যুক্তি নেই। এর আগেও তাঁরা এমন আভিযোগ করেছিলেন যার সত্যতা প্রমাণিত হয়নি, এ বারও হবে না।” |
|
|
|
|
|