বেআইনি ইটভাটা বন্ধ করার ব্যাপারে জেলাশাসককে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। কাটোয়ার বড়কুলগাছি গ্রামের ইটভাটা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আবেদন করেছিলেন স্থানীয় ‘গ্রাম ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি’। আবেদনে কাজ হয়নি বলে অভিযোগ তুলে ওই কমিটির সদস্য শ্রীমন্ত মাঝি হাইকোর্টে মামলা করেন। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও অরুণ মিত্রর ডিভিশন বেঞ্চ গত ১৯ ফেব্রুয়ারি জেলাশাসককে নির্দেশ দেন, ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। জেলাশাসক ওঙ্কার সিংহ মিনা জানান, আগামী ১৫ মার্চ শুনানির পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বকুলগাছি গ্রামের ‘গ্রাম ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি’র অভিযোগ, কাটোয়া ২ ব্লকের ওই গ্রামে চাষের জমি নষ্ট করে বেআইনি ইটভাটা তৈরি হয়। ওই ইটভাটা তৈরির সময় থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা সরব হন। |
কাটোয়ার বড়কুলগাছি গ্রামের ইটভাটা। নিজস্ব চিত্র। |
তাঁরা ইটভাটা বন্ধের দাবি জানিয়ে গড়াগাছা মোড়ে এসটিকেকে রোড অবরোধ করেন। কাটোয়ার মহকুমাশাসকের কাছে বিক্ষোভ দেখান এবং স্মারকলিপিও জমা দেন। ওই কমিটির অভিযোগ, কোনও রকম নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইটভাটা চালানোর জন্য পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। ভাটার ছাই উড়ে চাষের জমি নষ্ট করছে। এ ছাড়াও বেআইনি ভাবে মাটি কাটছে ওই ইটভাটার লোকজন।
শ্রীমন্ত মাঝির দাবি, “প্রশাসনের কাছ থেকে কোনও রকম সাড়া পাইনি। তাই আমরা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করি।” প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মামলা চলাকালীন কাটোয়া ২ বিএলএলআরও অরবিন্দ চক্রবর্তী আদালতে জানান, ওই ইটভাটাটি বেআইনি ভাবে চলছে। ওই ইটভাটার বিরুদ্ধে কাটোয়া থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। ইটভাটার অন্যতম অংশীদার অরবিন্দ মণ্ডলের বক্তব্য, “সবাই যে রকম আইন মেনে ইটভাটা চালাচ্ছে, আমিও তেমনই আইন মেনে ইটভাটা চালাচ্ছি।” কাটোয়া ২ বিএলএলআরও দফতর সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকায় ১৯টি ইটভাটা বেআইনি ভাবে চলছে। |