কোনও বহিরাগত নয়, শ্লীলতাহানির অভিযোগে মঙ্গলবার হাসপাতালেরই এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মীকে শনাক্ত করলেন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রোগিণী।
সোমবার দুপুরে একটি অস্ত্রোপচারের পরে অপারেশন থিয়েটার থেকে ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার পথে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ ও হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন ওই তরুণীর মা। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম বা পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি। আর হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষও বলতে শুরু করেছিলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি বহিরাগতও হতে পারে। কারণ, ওটি থেকে ওয়ার্ডের রাস্তায় প্রচুর বহিরাগতের আনাগোনা থাকে। অস্ত্রোপচারের পরে ওই রোগিণী দিনভর আচ্ছন্ন অবস্থায় থাকায় তাঁর বক্তব্যও জানা যায়নি। মঙ্গলবার অবস্থার উন্নতি হওয়ায় পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ওই তরুণী নিজেই এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মীকে শনাক্ত করলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এই ঘটনায় ফের অস্বস্তিতে পড়ল স্বাস্থ্য দফতর। কলকাতার অন্যতম প্রধান এক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যদি এমন ঘটে, তা হলে নিরাপত্তা কোন তলানিতে, সেই প্রশ্নই উঠেছে। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য অবশ্য নিরাপত্তার সমস্যা মানতে চাননি। তিনি বলেন, “আমরা যথেষ্ট সতর্ক এবং কড়া রয়েছি। তাই অভিযুক্ত এত দ্রুত ধরা পড়েছে।” এ দিন সকালে অভিযোগকারিণীর সঙ্গে কথা বলে পুলিশ অনুমান করে কোনও বহিরাগত নয়, হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কোনও কর্মী ঘটনার সঙ্গে জড়িত। ওই সময়ে কারা ডিউটিতে ছিলেন সে বিষয়ে তথ্য জোগাড় করে পুলিশ। চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের কয়েকজনকে হাজিরও করা হয়। তখনই রবি পুরকায়েত নামে ওই কর্মীকে চিহ্নিত করেন ওই তরুণী। পুলিশের দাবি, ধৃত ব্যক্তি ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। ধৃত রবিকে এ দিন শিয়ালদহ আদালতে তোলা হয়।
বন্ধ্যত্বের চিকিৎসা করাতে তিন দিন আগে ওই তরুণী এনআরএসে ভর্তি হন। সোমবার তাঁর ল্যাপারোস্কোপি হয়। অস্ত্রোপচারের পরে উত্তর ২৪ পরগনার হাবরার বাসিন্দা ওই তরুণীকে যখন ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তখনই ওই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন তাঁর মা। |