উল্টোডাঙায় উড়ালপুল ভেঙে পড়ার ঘটনা নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। কেন্দ্রের সহযোগিতায় কলকাতায় নির্মীয়মাণ অন্য উড়ালপুলগুলির রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তা বিষয়েও রিপোর্ট চাওয়া হল। নির্মীয়মাণ উড়ালপুলগুলির সুরক্ষা খতিয়ে দেখতে আজই কেন্দ্রকে পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছে রাজ্য সরকার।
কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী দীপা দাশমুন্সি আজ বলেন, “ঘটনাটি ভয়ানক। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না-ঘটে তা নিশ্চিত করতেই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। এই উড়ালপুলটির পাশাপাশি বাকি সেতুগুলির গঠনগত নকশা, নির্মাণ প্রক্রিয়া এবং প্রযুক্তি যথাযথ কিনা তা খতিয়ে দেখতে চায় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। বর্তমান উড়ালপুলটির রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকমতো হচ্ছিল কি না তা-ও জানা জরুরি।” তিনি আরও জানান, অতীতে গড়িয়াহাট উড়ালপুলের ক্ষেত্রেও শুরুতে সমস্যা ছিল। তবে কলকাতা পুরসভার তৎকালীন মেয়র সুব্রত মুখোপাধ্যায় সেই ত্রুটি দূর করার জন্য সেতুটি উদ্বোধন করতে কিছুটা সময় নিয়েছিলেন। উল্টোডাঙার সেতুর ক্ষেত্রে সে রকম কোনও ত্রুটি ছিল কি না, থাকলে তা অবহেলা করা হয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
রাজ্যের নগোরন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আজ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় নগোরন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সৌগত রায়কে রাজ্যে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর জন্য সরকারকে অনুরোধ করতে বলেন। সেই অনুযায়ী সৌগতবাবু কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী কমলনাথকে চিঠি দিয়ে জানান, জওহরলাল নেহরু জাতীয় নগর পুনরুজ্জীবন মিশনের অধীনে যে সব উড়ালপুলের কাজ চলছে, সেগুলির সুরক্ষা খতিয়ে দেখতে পর্যবেক্ষক দল পাঠানো হোক। তারা ‘ফিটনেস সার্টিফিকেট’ দিলেই কাজ শেষ করা হবে। রাজ্যের যুক্তি, কেন্দ্রও যখন এই সব প্রকল্পের অংশীদার, তখন তার সুরক্ষার দায়ভারও নিক।
দীপা জানান, উল্টোডাঙা ছাড়াও সেতু ও এলিভেটেড রাস্তা সহ ৬টি প্রকল্পের জন্য কেন্দ্র রাজ্যকে অর্থ সাহায্য করছে। জওহরলাল নেহেরু নগর পুনর্নবীকরণ প্রকল্পের আওতায় সেই সাহায্য দিচ্ছে ইউপিএ সরকার। সেগুলি হল, হাওড়া এবং চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের মাঝে বিবেকানন্দ রোড ফ্লাইওভার, পার্ক সার্কাস থেকে পরমা আইল্যান্ড ফ্লাইওভার, চন্দননগরে পূর্ব রেলের মেন লাইন সংলগ্ন ফ্লাইওভার, কেষ্টপুর থেকে জোড়ামন্দির সেতু, কামালগাজি থেকে ইএম বাইপাস পর্যন্ত চার লেনের সেতু এবং জিঞ্জিরাবাজার থেকে বাটানগর পর্যন্ত এলিভেটেড রোড। তিনি বলেন, কেএমডিএ-র তত্ত্বাবধানেই এই প্রকল্পগুলি রূপায়ণ হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু আইআরএমএ নামে একটি সংস্থার এই প্রকল্পগুলির কাজ ও নিরাপত্তা খতিয়ে দেখার কথা। ওই সংস্থা আবার এসএনসি লাভলিন নামে একটি সংস্থাকে নজরদারি করে রিপোর্ট দেওয়ার বরাত দিয়েছিল। তারা কী রিপোর্ট দিয়েছে, তা দেখলেই সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার কথা। সেই সব রিপোর্টই এ বার খতিয়ে দেখা হবে। |
উচ্চ মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
উচ্চ মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড কাল, বুধবার দেওয়া হবে। সংসদের বর্ধমান, মেদিনীপুর ও কলকাতা আঞ্চলিক কার্যালয়ের অধীন স্কুলগুলির প্রতিনিধিরা স্থানীয় বিতরণ কেন্দ্র থেকে ওই দিন ছাত্রছাত্রীদের অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন বলে সোমবার জানিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। উত্তরবঙ্গ আঞ্চলিক কার্যালয়ের অধীন স্কুলগুলির পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড বিতরণ হয়েছে রবিবার। |