টুকরো খবর |
উড়ালপুলের দাবি
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দুর্ঘটনা এড়াতে খড়গপুর লোকাল থানার বসন্তপুরে, ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর একটি উড়ালপুল তৈরির দাবি দীর্ঘ দিনের। প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে দরবার করেও লাভ হয়নি। তাই সোমবার সকালে সড়ক অবরোধের সিদ্ধান্ত নেন স্থানীয়রা। লোকজন জড়োও হন। খবর পেয়ে আসেন জেলা তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি। তিনি স্থানীয়দের সড়ক অবরোধ না করার আবেদন জানান। তাঁর আশ্বাসে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন এলাকাবাসী। অজিতবাবুর কথায়, “বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। ওঁকে এলাকা পরিদর্শনের জন্য বলেছি।” খড়্গপুর-ডেবরার মাঝে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরই রয়েছে বসন্তপুর। এলাকাটি দুর্ঘটনাপ্রবণ। আশপাশে স্কুল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, দোকান-বাজার রয়েছে। পাশেই তেলিপুকুর হাইস্কুল। এই স্কুলে এক হাজারেরও বেশি ছাত্রছাত্রী পড়ে। জাতীয় সড়কের দু’দিকে আরও চারটি হাইস্কুল রয়েছেমুকসুদপুর, মেউদিপুর, কনিখা এবং বাড়বাসি। সড়ক পারাপারের সময় দুর্ঘটনা ঘটে প্রায়শই। মাঝেমধ্যে যানজটও হয়। স্থানীয়দের বক্তব্য, একটি সাবওয়ে রয়েছে। তবে সেটি কেউ ব্যবহার করেন না। সেখানে প্রায়ই এক হাঁটু জল দাঁড়িয়ে থাকে। এই অবস্থায় উড়ালপুল তৈরির মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে মত তাঁদের। অজিতবাবু বলেন, “সাবওয়েটি পুরোপুরি অচল। কেউ ব্যবহার করে না। ঝোপঝাড়ও তৈরি হচ্ছে। এই বিষয়টিও জেলাশাসককে জানিয়েছি।”
|
সংস্কার শুরুর আগে ঘুরে দেখা স্টেডিয়াম
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
শহরের অরবিন্দ স্টেডিয়ামের পরিকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দ হয়েছে ৫০ লক্ষ টাকা। সেই টাকায় কী কী কাজ হবে, তার খসড়া প্রকল্পও তৈরি করেছে পূর্ত দফতর। কাজ করবে মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদ (এমকেডিএ)। কাজ শুরুর আগে স্টেডিয়ামের পরিস্থিতি সরেজমিনে ঘুরে দেখলেন পর্ষদ চেয়ারম্যান মৃগেন মাইতি। সঙ্গে ছিলেন কৃষ্ণদাস পাল, আশিস চক্রবর্তী, বিদ্যুৎ বসু-সহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারা। সোমবার বিকেলে স্টেডিয়ামে আসেন চেয়ারম্যান। জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে খসড়া প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেন। মেদিনীপুর শহরে আর কোনও স্টেডিয়াম নেই। সংস্কারের অভাবে গ্যালারির অবস্থা ভাল নয়। কয়েক জায়গায় ফেন্সিং ভেঙে পড়েছে। নতুন করে ফেন্সিং তৈরি ছাড়াও খেলোয়াড়দের পোশাক পরিবর্তনের জন্য আলাদা ঘর, ভিআইপি লাউঞ্জ, চিকিৎসকের বসার ঘর তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। এখন স্টেডিয়ামে প্রায় ১০ হাজার দর্শক বসতে পারেন। গ্যালারিতে সংকুলান হয় ৮ হাজার দর্শকের। স্টেডিয়াম সংস্কার হলে দর্শকাসনও কিছুটা বাড়বে। কিছু দিন আগে ‘জঙ্গলমহল ছাত্র-যুব উৎসবে’ যোগ দিতে মেদিনীপুরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই অরবিন্দ স্টেডিয়াম সংস্কারে অর্থ বরাদ্দের কথা ঘোষণা করেন তিনি। কাল, বুধবার ফের স্টেডিয়াম পরিদর্শন হবে। থাকবেন পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরা। ওই দিন খসড়া প্রকল্প নিয়ে ফের একপ্রস্ত আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
|
রেলের ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন সেরসা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
|
রেলের ক্রিকেটের ফাইনাল। —নিজস্ব চিত্র |
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ইন্টার ডিভিশন ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ী হল সেরসা। সোমবার ফাইনালে মুখোমুখি হয় খড়্গপুর ওয়ার্কশপ এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে স্পোটর্স অ্যাসোসিয়েশন (সেরসা)। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৪০ ওভারে ২৭৭ রান করে ওয়ার্কশপ। ৩৯ ওভার ২ বলেই জেতার জন্য প্রয়োজনীয় তুলে ফেলে সেরসা। ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছেন সেরসার দীপক সিংহ। তিনি একটি উইকেট নেওয়া ছাড়াও ৬৯ রান করেন। ম্যান অফ দ্য সিরিজ সেরসারই অভিষেক মিত্র। ফাইনাল ঘিরে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। গত বৃহস্পতিবার থেকে খড়্গপুরের সেরসা স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছিল এই টুর্নামেন্ট। রাঁচি, আদ্রা, চক্রধরপুর, খড়্গপুর-সহ মোট ৬টি দল এতে যোগ দেয়।
|
শাহবাগের সমর্থনে ছাত্র-যুবদের মিছিল
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
|
শাহবাহের সমর্থনে মিছিল। মির্জাবাজারে তোলা নিজস্ব চিত্র। |
শাহবাগ আন্দোলনের সমর্থনে সোমবার মেদিনীপুর শহরে মিছিল করে ডিওয়াইএফ-এসএফআই। দুই সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এই মিছিল হয়। ছিলেন ডিওয়াইএফের জেলা সম্পাদক দিলীপ সাউ, এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক সৌগত পন্ডা প্রমুখ। সংগঠনের জেলা কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়। পরে তা শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে। এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক বলেন, “শাহবাগের আন্দোলনে আমাদের সকলের সমর্থন রয়েছে। সকলের কাছে আমাদের আবেদন, আসুন এই আন্দোলনের পাশে দাঁড়াই। মহাজাগরণে সামিল হই।”
|
আগুনে চারটি বাড়ির ক্ষতি কেশিয়াড়িতে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আগুন লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হল চারটি বাড়ি। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে কেশিয়াড়ির কুসুমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রণবনিয়া গ্রামে। বাড়িগুলোর অধিকাংশই পুড়ে ছাই হয়েছে। ঠিক কী ভাবে আগুন লাগল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সোমবার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকেরা কেশিয়াড়ির বিডিও অসীম নিয়োগীর দ্বারস্থ হন। বিডিও তাঁদের কিছু সাহায্য দেন। ভবিষ্যতে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন বিডিও।
|
|