বক্সায় বাড়ছে চোরাশিকার
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে চোরাশিকারিদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। উত্তরবঙ্গের বনপাল (বন্যপ্রাণ) ব্রিজরাজ শর্মা বলেন, “দু’মাস আগে জঙ্গলে লাগানো গোপন ক্যামেরায় চোরাশিকারির একটি দলের ছবি মিলেছে। একজনকে ধরা হয়েছে। তদন্ত চলছে।” গত শুক্রবার ওই জঙ্গলের পানবাড়ি এলাকায় যান বনপাল। গত শুক্রবার ওই এলাকায় একটি হাতির দেহ উদ্ধার হয়। বুনোটির দাঁত কেটে নিয়ে যায় চোরাশিকারিরা। বনকর্তা এ দিন ঘটনারটির খোঁজ নেন। বন দফতর সূত্রে খবর, বাঘের গতিবিধি জানতে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে ৩০টি গোপন ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। দু’মাস আগে ওই ক্যামেরায় চোরাকারবারিদের একটি দলের ঘোরাফেরার ঘটনা ধরা পড়ে। এর পরেই বনকর্তারা নড়ে বসেন। শুক্রবার হাতির দেহ উদ্ধারের পরে বনকর্তাদের প্রাথমিক সন্দেহ ছিল চোরাশিকারিদের আক্রমণে ঘটনাটি ঘটেছে। কিন্তু সোমবার বনপাল জানান, মৃত হাতির দেহ থেকে ছররা গুলি মিলেছে। তাঁর কথায়, “বনবস্তি এলাকায় শস্য খেতে হাতি তাড়াতে গ্রামবাসীরা ছররা গুলি করে। ওই সময় শরীরে গুলি বিঁধে যায় বলে মনে হচ্ছে। প্রায় চল্লিশ বছরের পুরুষ হাতিটির পায়ের দিকে গুলি পাওয়া যায়। বয়সজনিত কারণ অথবা বিষক্রিয়া মৃতু্য হয়ে থাকতে পারে। পরে কেউ দাঁত কেটে নিয়ে যায়।” বুনোটির দেহের নমুনা ভিসেরা টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা রবীন্দ্রপাল সাইনি বলেন, হাতিটির দাঁত উদ্ধারের জন্য ভুটান ও অসমের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।” পরিবেশ প্রেমী সংগঠন ন্যাফের মুখপাত্র অনিমেষ বসু জানান, প্রয়োজনের তুলনায় বনকর্মীর সংখ্যা অনেক কম থাকায় জঙ্গলে টহলদারিতে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত বনকর্মীর সংখ্যা না বাড়ানো হলে সমস্যা বাড়বে।
|
পথ আটকাল হাতি
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
রাস্তায় ঠায় দাঁড়িয়ে বুনো হাতি। দু’পাশে সমস্ত যানবাহন দাঁড়িয়ে। মঙ্গলবার সকালে চাপড়ামারি জঙ্গলের খুনিয়া মোড়ের কাছে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে ঘটনাটি ঘটে। গজরাজের জন্য আচমকা পথ অবরোধের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অন্যদিন বুনোরা জঙ্গল থেকে বের হয়ে দ্রুত চলে গেলেও এদিন মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে। যানবাহন থেকে হর্ণ দেওয়া হলে শুঁড় উচিয়ে তেড়ে যায়। ভয় দেখাতে থাকে। প্রায় আধ ঘন্টা ওই পরিস্থিতি চলে। পরে রাস্তা ছেড়ে দুলকি চালে জঙ্গলের দিকে চলে যায়। জলপাইগুড়ি বন্যপ্রাণ-২ বিভাগের ডিএফও সুমিতা ঘটক বলেন, “ঘটনাটি নতুন কিছু নয়। এমনটা জঙ্গলের মধ্য দিয়ে যাওয়া রাস্তায় হয়ে থাকে।”
|
খেদানোয় বাধা
নিজস্ব সংবাদদাতা • সোনামুখী |
দলমার প্রায় দেড়শো হাতির দলটি সোনামুখীর রাজপুর বাঁধের কাছে এসে বিচ্ছন্ন হয়ে পড়ায় হাতি খেদানোয় বাধা পেলেন বনকর্মীরা। রবিবার শুরু হয়েছিল অভিযান। তাড়াতে গিয়ে জখম হয়েছিলেন এক হুলা কর্মী। সোনামুখীর রেঞ্জ অফিসার মোহন শীট বলেন, “অনেক দলে ভাগ হয়ে পড়েছে হাতিরা। ফলে সমস্যায় পড়েছি। সোমবার বিকেল পর্যন্ত ৩০টি হাতির একটি ছোট দলের খোঁজ মিলেছে রাজপুর বাঁধের কাছে। সেটিকে বিষ্ণুপুরের দিকে তাড়ানোর চেষ্টা চলছে।”
|
ধরা পড়ল বাঘ
নিজস্ব সংবাদদাতা • ক্যানিং |
বন দফতরের খাঁচায় ধরা পড়ল একটি বাঘ। ঘটনাটি ঘটেছে, সোমবার সন্ধ্যায় পিরখালি-১ জঙ্গলে। বাঘটিকে গত দু’দিন ধরেই ওই জঙ্গলের আশেপাশে ঘুরতে দেখা যাচ্ছিল। বন দফতরের অনুমান, বাঘটি অসুস্থ। এ দিন সকালে বন দফতর বাঘটিকে ধরার জন্য পিরখালি জঙ্গলে খাঁচা পেতেছিল। সেখানেই ধরা পড়ে বাঘটি। মঙ্গলবার সকালে পশু চিকিৎসকেরা বাঘটিকে পরীক্ষা করবেন বলে বন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। |