বুনো দাঁতালের হানায় এক চা শ্রমিকের মৃত্যু হল। রবিবার রাতে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (পূর্ব) ফাঁসখোয়া জঙ্গল লাগোয়া ফাঁসখোয়া চা বাগানের তিন নম্বর লাইনে ঘটনাটি ঘটে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শ্রমিকের নাম ভীম ভোক্তা (৪৫)। ওই ঘটনা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বাসিন্দারা বনকর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় এবং বন দফতরের রেঞ্জ অফিসে হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ দিন সন্ধ্যা নাগাদ একটি দলছুট দাঁতাল ফাঁসখোয়া জঙ্গল থেকে বার হয়ে চা বাগানের শ্রমিক বস্তিতে ঢুকে পড়ে। ওই সময় ফ্যাক্টরি লাইন থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন ভীম। ঝোপের আড়ালে দাঁতালটি দাঁড়িয়ে ছিল। ছুটে পালাতে গেলে বুনোটি তাঁকে শুঁড়ে তুলে ছুঁড়ে মারে। বাসিন্দারা ভীমকে উদ্ধার করে। হাতিপোতা থেকে এসএসবি জওয়ানরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে শামুকতলা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে বনকর্মীরা চা বাগান এলাকায় গেলে বাসিন্দারা তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পরে কয়েজন হাতিপোতা রেঞ্জ অফিসে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বনকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে জখম শ্রমিককে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করলে বাঁচানো সম্ভব হত। অঞ্জু ঘোষ নামে এক বাসিন্দা বলেন, “ঘটনার পরে দ্রুত বন দফতরে খবর দেওয়া হয়। বনকর্মীরা আসেন অনেক পরে। ফলে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়।” ভীমের স্ত্রী সুমিত্রা জানান, এ ভাবে স্বামীর মৃত্যু হবে ভাবতে পারিনি। এখন কি করব বুঝতে পারছি না। বক্সা ব্যঘ্র প্রকল্পের হাতিপোতার রেঞ্জার দীপক চৌধুরী অবশ্য ঘটনাস্থলে দেরিতে পৌঁছনোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “অভিযোগ ঠিক নয়। খবর দেওয়া হয় জখম শ্রমিককে বাগানের হাসপাতালে রাখা হয়েছে। আমরা সেখানে যাই। পরে ভীমের বাড়িতে পৌঁছতে সময় নষ্ট হয়।” তিনি অভিযোগ করেন, ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে রাতে একদল শ্রমিক রেঞ্জ অফিসে হামলা চালায়। |