টুকরো খবর |
প্রাক্তন মন্ত্রী কলিমুদ্দিন শামস প্রয়াত
নিজস্ব সংবাদদাতা |
দীর্ঘ রোগভোগের পরে প্রয়াত হলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কলিমুদ্দিন শামস। বামফ্রন্ট জমানার প্রথম ১০ বছর তিনি বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারও ছিলেন। পাঁচ বছর ছিলেন বিপণন মন্ত্রী। তবে বেশি পরিচিতি ছিল খাদ্যমন্ত্রী হিসাবেই। মন্ত্রিসভার বহর ছোট হয়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে যখন তাঁকে ইস্তফা দিতে বলা হয়, সেই সময় খাদ্য দফতরে দুর্নীতির অভিযোগে জোর বিতর্ক বেধেছিল। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরেও ২০০৬ পর্যন্ত কলিমুদ্দিন বিধায়ক ছিলেন। তবে তার পর থেকে অসুস্থতার জন্যই দীর্ঘদিন লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন। থাকতেন সল্টলেকের বাড়িতে। দক্ষিণ কলকাতার এক নার্সিং হোমে সোমবার দুপুরে তাঁর মৃত্যু হয়। বয়স হয়েছিল ৭৮।মহম্মদ জাহানের হাত ধরে রাজনীতিতে এসে কলিমুদ্দিন প্রথমে কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর হন। পরে ১৯৭৭ সালে ফরওয়ার্ড ব্লকের হয়ে অধুনা-লুপ্ত কবিতীর্থ কেন্দ্র থেকে জিতে আসেন বিধানসভায়। ১৯৮৭ সালে হেরে যাওয়ার আগে পর্যন্ত দু’দফায় বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার ছিলেন। কবিতীর্থ থেকেই ফের ১৯৯১ সালে জিতে বিপণনমন্ত্রী হন। পরের নির্বাচনে সরে যান বীরভূমের নলহাটি কেন্দ্রে। সেই ১৯৯৬-এ জিতেই দফতর পাল্টে কলিমুদ্দিন হয়ে যান খাদ্যমন্ত্রী। নলহাটি থেকেই ২০০১-এ দ্বিতীয় বার জেতার দু’বছরের মধ্যে মন্ত্রিসভা বাদ পড়তে হয় তাঁকে। ছেলে মইনুদ্দিন শামস এখন ফ ব-র কলকাতা জেলা সম্পাদক। আর এক ছেলে নিজামুদ্দিন ফব-র কাউন্সিলর। কলিমুদ্দিনের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন
ফব-র প্রবীণ রাজ্য সম্পাদক অশোক ঘোষ। মৃত্যু সংবাদ পেয়ে হাসপাতালেও যান ফব নেতারা। যদিও মৃত্যুর আগে বেশ কয়েক বছর দলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না কলিমুদ্দিনের।
|
মিলল লুঠের টাকা, ধৃত ৫ |
হেস্টিংস থানা এলাকার ভিক্টোরিয়ার কাছে চলন্ত ট্যাক্সিতে অস্ত্র দেখিয়ে এক ব্যবসায়ীর প্রায় সওয়া কোটি টাকা লুঠের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। ফেব্রুয়ারির গোড়ায় ঘটা ওই ঘটনায় যুক্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মিলেছে লুঠ হওয়া ৭৬ লক্ষ টাকা। |
উদ্ধার হওয়া টাকা। —নিজস্ব চিত্র |
পুলিশ জানায়, ধৃতদের এক জন রবীন্দ্র ওই ব্যবসায়ীর কর্মী। সে ও তার বন্ধু বিনয় সিংহ মূল পাণ্ডা। রবীন্দ্র ও বিনয়-সহ সাত জন ওই ঘটনায় যুক্ত। গোয়েন্দা প্রধান পল্লবকান্তি ঘোষ জানান, “দু’টি ট্যাক্সি ব্যবহার করে দুষ্কৃতীরা। এক ট্যাক্সিচালক-সহ দু’জন এখনও পলাতক।” বিকাশ হেতমপুরিয়া পুলিশকে জানান, ওই দিন রাতে এজেসি বসু রোড, হরিশ মুখার্জি রোড, এলগিন রোড, ডি এল খান রোড হয়ে বিদ্যাসাগর সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড পেরিয়ে প্রিন্সেপ ঘাটের কাছে তাঁকে গাড়ি থেকে মেরে নামায় দুষ্কৃতীরা।
|
সন্ধ্যার শহরে ফের ছিনতাই |
ভরসন্ধ্যায় শহরে ফের এক মহিলার হার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটল। এ বার বালিগঞ্জের ডোভার রোডে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ হিন্দুস্থান পার্কের বাসিন্দা এক মহিলা অফিস শেষ করে ডোভার রোড দিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় এক দুষ্কৃতী পিছন থেকে এসে তাঁর হার ছিনতাই করে পালায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও সোমবার রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
|
সিসিটিভি চুরি |
চোর ঠেকাতে দোকান-মালিক বসিয়েছিলেন সিসিটিভি। সেটিই চুরি গেল। রবিবার, নিউ টাউনে। পুলিশ জানায়, বছরখানেক আগে দোকানে চুরির পরে সিসিটিভি বসান মালিক বাগবুল হোসেন। তিনি বলেন, “সোমবার দেখি কোল্যাপসিব্ল ভাঙা। কিছু গয়না নেই। উধাও সিসিটিভি-ও।”
|
বাঁশদ্রোণীতে পুড়ে ছাই ২৫টি দোকান |
আগুন লাগার ঘটনা পিছু ছাড়ছে না মহানগরের। রবিবার রাতে বাঁশদ্রোণী উষাগেট সংলগ্ন খালপাড় এলাকায় পুড়ে যায় ২৫টি গুমটি দোকান। আগুন ছড়ায় গুমটির পাঁচিলের পিছনের বাড়িগুলির গাছে। রক্ষা পেয়েছে বাড়িগুলি। একটি বাড়ির এসি পুড়ে গিয়েছে। পুলিশ জানায়, দোকানগুলি সব্জি, মুদি ও মাছ-মাংসের দোকান। দমকলের ১১টি ইঞ্জিন চার ঘণ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে। একটি পানের দোকানের গুমটি মালিক প্রদীপ সাহা জানান, দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাওয়ার ঘণ্টাখানেক পরে তিনি আগুন লাগার কথা জানতে পারেন। এসে দেখেন, দোকান ছাই। দোকানদারদের অভিযোগ, কেউ আগুন লাগিয়েছে। না হলে একটি বাড়ির অত বড় গেটের দু’দিকের অংশে আগুন লাগত না। |
|
অন্য দিকে, সোমবার বিকেলেই আচমকা আগুন লাগে কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে (এটিসি)-এ। ন’তলা উঁচু এটিসি বাড়ির দোতলায় একটি ঘরের কাছে ঝালাইয়ের কাজ চলছিল। সেখান থেকেই ফুলকি এসে বিপত্তি বাধে। দমকল আসার আগেই কর্মীরা নিভিয়ে ফেলেন আগুন। রবিবার রাতে কাশীপুরে প্রাণকৃষ্ণ মুখার্জি রোডে ভস্মীভূত হয়ে যায় গেঞ্জি কারখানা। দমকলের ১১টি ইঞ্জিন দু’ঘণ্টায় আগুন নেভায়।
|
দরজা ভেঙে চুরি সল্টলেকে |
ল্যাপটপ, কম্পিউটরের মনিটর চুরি হল, উপরি হিসাবে দু’টি শৌচাগারের সব ক’টি কল খুলে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। রবিবার রাতে, সল্টলেকের এ ই ব্লকে।
পুলিশ জানায়, সল্টলেকের ৪ নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে এ ই ব্লকের ওই বাড়ির একতলায় একটি ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। কেন্দ্রের এক অধিকর্তা সায়ন্তন দাস অধিকারী জানান, দোতলায় মেরামতির কাজ চলছে। বাড়িওয়ালা বাইরে থাকেন। একতলায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কেয়ারটেকার কিছু দিন আগে বাড়ি গিয়েছেন। ফলে, বাড়ি ফাঁকাই ছিল। সোমবার সকালে বাড়িতে ঢুকে দেখা যায় তিনটি দামি ল্যাপটপ, একটি কম্পিউটারের মনিটর উধাও। এ ছাড়া চুরি গিয়েছে দু’টি শৌচাগারের সব জলের কল। এমন কী, শৌচাগার দু’টির বেসিনও ভাঙা। সায়ন্তনবাবুর দাবি, দেড় লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী চুরি গিয়েছে। |
অঘটন...
সল্টলেকে ফের চুরি দরজা ভেঙে। এ বার এক শিক্ষাকেন্দ্রে। |
তিনি বলেন, “আর্থিক ক্ষতির চেয়েও সমস্যা হল ল্যাপটপে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষিত ছিল।” ওই কেন্দ্রের কর্মীরা জানান, বাড়ির পিছন দিকের দু’টি দরজা ভাঙা হয়েছে। কিন্তু বাড়ির দোতলায় লোহার বেশ কিছু সামগ্রী থাকলেও তা চুরি করা হয়নি। বিধাননগর উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বাড়ির দোতলায় কাজ চলছিল। জানলা না থাকায় সেখান দিয়েই দুষ্কৃতীরা বাড়ির ভিতরে ঢুকেছে।
|
পালিয়ে মন খারাপ, অজমেঢ় থেকে ফিরল বালক |
বাবা সাইকেল কিনে দেয়নি বলে বাড়ি থেকে পালিয়ে সোজা চলে গিয়েছিল অজমেঢ় শরীফে। আবার মন খারাপ হতেই বাড়ির নম্বরে ফোন করিয়ে বাড়ি ফিরে আসার আবদার করে ১০ বছরের শেখ ইজাজ আহমেদ। অবশেষে পুলিশ কাকুদের হাত ধরে ২৭ ফেব্রুয়ারি বাড়ির দিকে রওনা দেয় সে। ফিরেছে গত শনিবার, ২ মার্চ। ডিসি (সাউথ-ইস্ট) দেবব্রত দাস জানিয়েছেন, ১৮ ফেব্রুয়ারি তপসিয়া সাউথ রোডের বাসিন্দা ইজাজ বাড়ি থেকে টিউশন পড়তে বেরোয়। কিন্তু সে সোজা চলে যায় শিয়ালদহ স্টেশনে। পকেটে মাত্র ১৩০ টাকা নিয়ে নিজেই চেপে বসে অজমেঢ় যাওয়ার ট্রেনে। কিন্তু অজমেঢ়ে নেমে শেষরক্ষা হয়নি। সেখানকার জিআরপি তাকে স্টেশন থেকে ধরে নিয়ে যায় সেখানকার চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিতে। কমিটি তাকে অজমেঢ়ের খিলতি কলিয়া নামে একটি হোমে পাঠায়। সেখানে ৮ দিন পরেই বাবা-মায়ের জন্য মন খারাপ করায় ইজাজ নিজেই সংগঠনের এক জনকে দিয়ে বাড়িতে ফোন করায়।ইতিমধ্যে বাড়ির লোকজনও কড়েয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। বাড়ির লোক থানায় গিয়ে ফোনের কথা জানাতে কলকাতা থেকে পুলিশ অফিসারেরা যোগাযোগ করেন অজমেঢ়ের পুলিশের সঙ্গে। ফিরিয়ে আনা হয় ইজাজকে।সোমবার বাবার সঙ্গে থানায় বসে ইজাজ জানায়, আগে দু’বার অজমেঢ়ে গিয়েছিল সে। খুব ভাল লেগেছিল বলেই সে অজমেঢ়ের ট্রেনে চেপে বসে।
|
কার্টুন-ক্ষতিপূরণে বাড়তি সময় |
কার্টুন-কাণ্ডে মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশ রূপায়ণের ব্যাপারে আরও ছ’সপ্তাহ সময় চাইল রাজ্য সরকার। তারা গত সপ্তাহে মানবাধিকার কমিশনকে এই মর্মে চিঠি দিয়েছে। সরকারকে ওই সময় দেওয়া হয়েছে বলে কমিশনের যুগ্মসচিব সুজয়কুমার হালদার সোমবার জানান। কমিশন গত ১৩ অগস্ট কার্টুন-কাণ্ডে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র এবং তাঁর প্রতিবেশী সুব্রত সেনগুপ্তকে দু’মাসের মধ্যে ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। কিন্তু ছ’মাস পরেও সেই সুপারিশ বাস্তবায়িত হয়নি। |
|