ক্যানসার বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের মেয়র ও বিধায়কের বিরুদ্ধে বক্তব্যে ব্যাঘাত ঘটানোর অভিযোগ তুলে মঞ্চ থেকে নেমে পড়লেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। রবিবার বেলা ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে শিলিগুড়ি সংলগ্ন রাঙাপানি ক্যানসার সেন্টারে। ওই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েন অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির সদস্যরা। তাঁরা তড়িঘড়ি মন্ত্রীকে ক্যানসার সেন্টারের ভিতরে নিয়ে যান। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত, বিধায়ক শঙ্কর মালাকার অবশ্য পুরো অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরেই মঞ্চ ছাড়েন। শিলিগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্যও অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত মঞ্চে ছিলেন।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “আমি বক্তব্য দিচ্ছিলাম সে সময় মঞ্চে দু’জন কথা বলছিলেন। আমার বক্তব্য দিতে অসুবিধে হচ্ছিল। তাই পুরো বক্তব্য শেষ করতে পারিনি। এভাবে কারও বক্তব্যে বাধা দেওয়া ঠিক নয়।” মন্ত্রীর ওই ভূমিকায় কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, মেয়র ও বিধায়ককে হেয় করার জন্য মন্ত্রী মঞ্চ থেকে নেমে যান। বিধায়ক ও মেয়র অবশ্য বিষয়টি নিয়ে তেমন কিছু বলতে চাননি। শঙ্করবাবু শুধু বলেন, “এটাই তৃণমূলের আসল রূপ।” মেয়র বলেন, “একটা প্রয়োজনীয় কথা বলছিলাম। সামান্য সময়ের ব্যপার। তাতে কারও বক্তব্যে বাধা পাওয়ার কথা নয়।”
ক্যানসার সেন্টার সূত্রের খবর, এদিনের অনুষ্ঠানে শিলিগুড়ি সহ সিকিম, নেপাল থেকে ৩২ জন ক্যানসার রোগ জয়ী বাসিন্দা যোগ দেন। এদের মধ্যে তিন বছরের শিশু থেকে ষাট বছরের বৃদ্ধরাও ছিলেন। শিলিগুড়ির প্রবীণ কংগ্রেস নেতা প্রশান্ত নন্দীও সেখানে যান। ক্যানসার জয়ীরা তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা জানান। তাঁদের কয়েকজন ক্যানসার সেন্টারের পরিকাঠামো উন্নয়নে সরকারি সাহায্যের আবেদন জানান। সেই সময় মঞ্চে পাশাপাশি বসেছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী, কংগ্রেস বিধায়ক ও মেয়র। এর পরেই মন্ত্রী বক্তব্য রাখতে যান। তিনি সরকারি সাহায্যের আশ্বাস দেন। এর পরেই বিধায়ক-মেয়র কথা বলছিলেন বলে অভিযোগ তুলে মঞ্চ থেকে নেমে যান তিনি।
শঙ্করবাবু বলেন, “ক্যানসার সেন্টারের উন্নয়নে সর্বতোভাবে সাহায্য করব। এক লক্ষ টাকা বিধায়ক তহবিল থেকে ক্যানসার সেন্টারকে দিয়েছি।” ক্যানসার সেন্টারের পক্ষে পঙ্কজ চৌধুরী বলেন, “সবার সাহায্য নিয়ে ক্যানসার সেন্টারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।” |