অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরিতে গড়িমসি পূর্বে
চার বছরেও হয়নি লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক
গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিল থেকে বরাদ্দ অর্থে জেলার ৪৩৯টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নিজস্ব বাড়ি তৈরির জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল প্রায় চার বছর আগে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তৈরি হয়েছে অর্ধেকেরও কম, মাত্র ২০০টি।
কেন এই অবস্থা?
জেলা পরিষদের শিশু ও নারী কল্যাণ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ অপর্ণা ভট্টাচার্যের অবশ্য দাবি, “একাধিকবার টেন্ডার হলেও ঠিকাদারদের কাছ থেকে দরপত্র জমা নিয়ে যথেষ্ট সাড়া না মেলায় বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যায়নি।” জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশু ও মায়েদের পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ ও সচেতনার জন্য প্রায় প্রতিটি গ্রামে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বর্তমানে চালু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৭৬২। এর মধ্যে মাত্র ১০৫২টির আছে নিজস্ব বাড়ি। আর অধিকাংশই চলছে অন্যের জায়গায়। ২০৮০টি চলছে বিভিন্ন এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, বাড়ি ভাড়া নিয়ে চলছে ৬০৮টি, আর বাকিগুলি চলছে বিভিন্ন এলাকার ক্লাব ঘরে অথবা ব্যক্তিগত বাড়ির এক চিলতে জায়গায়।
প্রশাসন ও জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নিজস্ব বাড়ি তৈরির জন্য গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিল (আরআইডিএফ), অর্থ কমিশন, জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ করা হয়ে থাকে। ২০০৯-১০ আর্থিক বছরে আরআইডিএফ-১৩ তহবিল থেকে জেলার ৪৩৯টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নিজস্ব বাড়ি তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর জন্য গত তিন বছরে ধাপে ধাপে প্রায় ৬ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়।
প্রায় চার বছর আগে জেলার ৪৩৯টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরির জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। মোট ৮ বার টেন্ডার ডাকার পর ৪৩৯টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মধ্যে ২৮৫টির টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছিল। এর মধ্যে প্রায় ২০০টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। বাকি কাজ হয়নি। জেলা পরিষদের শিশু ও নারী উন্নয়ন দফতরের কর্মাধ্যক্ষ অপর্ণা ভট্টাচার্যের যুক্তি, “যে সময় ওই সব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বাড়ি তৈরির জন্য আরআইডিএফ থেকে অনুমোদন দেওয়া হয় তখন প্রতিটি বাড়ি তৈরির জন্য বরাদ্দ ছিল ৩ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা। কিন্তু নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ঠিকাদাররা ওই কাজে আগ্রহ দেখায়নি।” তিনি আরও বলেন, “চলতি আর্থিক বছরে জেলার আরও ২২০টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বাড়ি তৈরির জন্য ত্রয়োদশ অর্থ কমিশন থেকে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। এ বার প্রতিটি বাড়ি তৈরির জন্য বরাদ্দ হয়েছে প্রায় দ্বিগুন ৬ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। এর টেন্ডার সম্পূর্ণ হয়েছে। এছাড়াও একশো দিনের কাজের প্রকল্পে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বাড়ি তৈরির কাজ করা যাবে বলে নির্দেশিকা এসেছে। তার জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।”
কিন্তু আগে অনুমোদন পাওয়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বাড়ি তৈরির কাজ কবে সম্পূর্ণ হবে?
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন বলেন, “ওই সব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বাড়ি তৈরির জন্য অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ করতে রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.