পাঁচ দিনে মোট তিনটি ম্যাচ খেলতে হবে উইম কোভারম্যান্সের ভারতকে। তার উপর ইয়াঙ্গনের গরমে জেরবার দশা সুনীল ছেত্রীদের। কোভারম্যান্সের কড়া তত্ত্বাবধানে টিমের মেডিক্যাল ইউনিট চব্বিশ ঘণ্টা কাজ করে চলেছে ফুটবলারদের ফিট রাখতে। এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বের ম্যাচে আজ সোমবার গুয়ামের মুখোমুখি ভারত। এই ম্যাচও হবে দুপুরের গরমে। প্রচণ্ড গরমে ৯০ মিনিট খেলতে গিয়ে ফুটবলারদের শরীর থেকে এত জল বেরিয়ে যাচ্ছে যে, এক দিনে ওজন প্রায় ৪ থেকে ৬ কেজি কমে যেতে পারে। সেই ঘাটতি মেরামত করতে নবিদের নির্দিষ্ট ডায়েট মেনে চলতে হচ্ছে। আইস বাথ আর মাসাজও চলছে। গোলকিপার সুব্রত পাল বলছিলেন, “এই গরমে পাঁচ দিনে তিনটে ম্যাচ খেলা সহজ নয়। আমাদের ফিট রাখার জন্য মেডিক্যাল ইউনিট দারুণ কাজ করছে।” গুয়ামের বিরুদ্ধে রণনীতির চেয়েও কোভারম্যান্সের চিন্তায় বেশি করে থাকছে সুনীলদের ফিট রাখা। ভারতের চেয়ে র্যাঙ্কিংয়ে গুয়াম (ফিফা র্যাঙ্কিং ১৮১) চোদ্দো ধাপ পিছিয়ে। মায়ানমারের বিরুদ্ধে ৫-০ তারা হেরেওছে। তবু গুয়ামকে বাড়তি সমীহ করছেন কোভারম্যান্স। বলছেন, “প্রতিপক্ষকে দুর্বল ভাবা উচিত নয়। ভাবলে তার মূল্য দিতে হতে পারে।” ভারত অবশ্য আত্মবিশ্বাসী। অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী যেমন বললেন, “প্রথম ম্যাচে তিন পয়েন্ট পাওয়াটা খুব জরুরি ছিল। গুয়ামের বিরুদ্ধে জেতার জন্যও তৈরি।” দলের মিডিও মেহতাব বলছেন, “আন্তর্জাতিক ম্যাচে এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়লেই বিপক্ষ ঘাড়ে চেপে বসে।” গুয়ামের বিরুদ্ধে দল নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রেখেছেন কোচ। তবে দল অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনাই বেশি।
|
চোট সারিয়ে মাঠে ফিরেছিলেন এক মাস আগেই। মাস কাটতে না কাটতেই আবার চোট। এ বার সম্ভবত তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে মনোজ তিওয়ারি। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে এ দিন সে রকমই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। আইপিএল সিক্স শুরু হতে আর মাত্র এক মাস। তার আগে মনোজের নতুন চোট চিন্তার হলেও মনোজ আশাবাদী। শনিবার বিজয় হাজারে সেমিফাইনালে ফিল্ডিং করার সময় কাঁধের ল্যাব্রামে আংশিক চোট পান মনোজ। তিন সপ্তাহের বিশ্রাম ছাড়া কোনও উপায় নেই বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। চোটের জন্য ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান সিরিজে ভারতীয় দলে সুযোগ পাননি মনোজ। চোট সারিয়ে ফিরে ইরানি ট্রফিতে হাফসেঞ্চুরি ও ভারত ‘এ’-র হয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করে আবার চোট পেলেন। এর আগে ডান কাঁধে অস্ত্রোপচার হয়েছিল তাঁর। এ বার বাঁ কাঁধও অক্ষত রইল না। মনোজ বলছেন, “ফিল্ডিং করতে গিয়ে যে এ ভাবে চোট পাব ভাবিনি। তবে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে যখন এসেছি, তখন আশা করি ঠিক সময়েই সেরে উঠব।” সামনে জাতীয় টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা মুস্তাক আলি ট্রফি রয়েছে। সেখানে অবশ্য খেলতে পারবেন না মনোজ। কিন্তু আইপিএল সিক্সের আগে যে যথেষ্ট প্র্যাকটিস পাবেন না, এই ব্যাপারটাই চিন্তায় রাখছে মনোজকে।
|
পরপর দু’বার সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হল সার্ভিসেস। রবিবারের ফাইনালে সাডেন ডেথ-এ তারা হারাল কেরলকে। রবিবার নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ম্যাচ গোলশূন্য ছিল। টাইব্রেকারেও দু’দল তিনটের মধ্যে দু’টি করে পেনাল্টির সুযোগ নষ্ট করে। এই নিয়ে মোট তিন বার সন্তোষ চ্যাম্পিয়ন হল সার্ভিসেস। অন্য দিকে আই লিগে এয়ার ইন্ডিয়াকে ২-১ হারাল ওএনজিসি।
|
একপেশে লড়াইয়ে স্বদেশি ডেভিড ফেরারকে চুরমার করে মেক্সিকান ওপেন খেতাব জিতে নিলেন রাফায়েল নাদাল। এক ঘণ্টা চলা ফাইনালের ফল নাদালের পক্ষে ৬-০, ৬-২। হাঁটুর চোটে সাত মাস কোর্টের বাইরে কাটানোর পর প্রত্যাবর্তনের পথে স্প্যানিশ তারকার এটা দ্বিতীয় খেতাব। গত মাসে চিলিতে প্রথম টুর্নামেন্টে নেমে ফাইনালে হেরেছিলেন নাদাল। তার এক সপ্তাহ পরে ব্রাজিল ওপেন জেতেন। আর এখানে বিশ্বের চার নম্বর ফেরারের উপর যে ভাবে কর্তৃত্ব করলেন, তাতে নাদাল নিজেই অবাক। বলেছেন, “আমি এই পর্যায়ের টেনিস খেলতে পারব, ভাবিনি। আজ যতটা আনন্দ হচ্ছে, নিজের খেলায় আমি ততটাই অবাক!”
|
দলকে ফাইনালে তোলার দায়িত্ব নিয়েছিলেন গৌতম গম্ভীর। এ বার চ্যাম্পিয়নের খেতাব এনে দিলেন উন্মুক্ত চন্দ। তাঁর সেঞ্চুরির উপর ভর করে বিজয় হাজারে ট্রফির ফাইনালে অসমকে ৭৫ রানে হারাল দিল্লি। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা দিল্লি তোলে ২৯০-৯। জবাবে ২১৫ অল আউট হয়ে যায় অসম। উন্মুক্ত ১১৬ করেন। অসম ইনিংসে ধস নামান পেসার রজত ভাটিয়া (৩-৩৬), পরবিন্দর আওয়ানা (২-৩১) ও লেগস্পিনার বরুণ সুদ (২-৪৬)।
|
বিজয় হাজারে ট্রফি দিয়ে শুরু হল ঘরোয়া ক্রিকেটের ডোপ পরীক্ষা। ডা. ভেস পেজকে এই দায়িত্ব দিয়েছে ভারতীয় বোর্ড। তাঁর নেতৃত্বেই বোর্ডের একটি দল ডোপ পরীক্ষা করে এই টুর্নামেন্টে। রবিবার মুম্বই থেকে ফোনে ডা. পেজ বলেন, “ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা থাকবে আইপিএলেও।” ডোপ পরীক্ষার জন্য দুই দলের ম্যানেজার ও তৃতীয় আম্পায়ারের উপস্থিতিতে দু’দলের দু’জন ক্রিকেটারকে লটারির মাধ্যমে বেছে নেওয়া হয়। চার জনের নাম কাগজে লিখে খামে ভরে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ম্যাচ শেষে খাম খুলে চার ক্রিকেটারের নাম জেনে তাঁদের ডোপ পরীক্ষা হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনও ক্রিকেটার ধরা পড়েননি।
|
এই প্রথম এ এন ঘোষ ট্রফির ফাইনালে উঠল ভবানীপুর। রবিবার সেমিফাইনালে স্পোর্টিং ইউনিয়নকে সাত উইকেটে হারাল তারা। প্রথমে ব্যাট করে স্পোর্টিং ২৭৮ করে। গীতিময় বসু ৮৮ ও প্রিনান দত্ত ৬৯ করেন। ভবানীপুরের সৌম্য পাকড়ে তিন উইকেট পান ৬৩ রান দিয়ে। জবাবে তিন উইকেট হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছয় ভবানীপুর। জয়জিৎ বসু ৯৩ করেন। অন্য সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল ও কালীঘাট।
|