|
|
|
|
দাদ্দা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটটা পরে যেও
পাঁচ বছর আগের নভেম্বরের বিষাক্ত সন্ধে জীবনটাই বদলে দিয়েছিল! আজ সন্তানদের সামনে তিনি কাঁদেন না।
রামগোপাল বর্মার ‘২৬/১১’-ও দেখতে চান না। পুণে নিবাসী সে দিনের মুম্বই পুলিশের শহিদ
অশোক কামতের স্ত্রী বিনীতার সঙ্গে কথা বললেন প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত |
সহজে তাঁর চোখে জল আসে না।
এমনকী যদি সুযোগ পেতেন তা হলে শরীর থেকে বাদ দিয়ে দিতেন তাঁর অশ্রুগ্রন্থিগুলো। এমন নয় যে তিনি যন্ত্রণা পান না কিংবা বেদনায় আপ্লুত হন না।
আসলে তিনি অশ্রু ঝরিয়ে আর সমবেদনা পেতে চান না।
তিনি বিনীতা কামতে।
ভারতের বীর শহিদ অশোক কামতের স্ত্রী। মুম্বই (পূর্ব) পুলিশের সহকারী কমিশনার অশোক কামতে যিনি ২৬/১১-তে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে দুঃসাহসিক যুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন। রামগোপাল বর্মার ‘দ্য অ্যাটাকস অব ২৬/১১’ সিনেমাটি না দেখার ব্যাপারে বিনীতা অবশ্যই বদ্ধপরিকর। সে সিনেমা ভাল বা খারাপ তা নিয়ে বিনীতার কোনও মাথাব্যথা নেই। তিনি যে আসলে সত্যিটা জানেন। আর তাই সিনেমাটা দেখতে চান না।
সিনেমায় রাকেশ মারিয়া (মহারাষ্ট্র পুলিশের যুগ্ম অধিকর্তা)-র দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে যা দেখানো হয়েছে সেটা হয়তো বাস্তবের সঙ্গে নাও মিলতে পারে।
নভেম্বর মাসের একটা বুধবার তাঁর এবং তাঁর সন্তানদের জীবনকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছিল। রাত পৌনে দশটা নাগাদ স্বামীর মোবাইল থেকে একটা কল পান। ফোনের ওপার থেকে বিনীতা জানতে পারেন মুম্বইকে সন্ত্রাসবাদীরা কব্জা করে নিয়েছে। বাড়ি ফিরে বিনীতার ছেলে টিভি খুলতেই পর্দায় ভেসে উঠেছিল বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরা হেমন্ত কারকারে (সিনিয়র আই পি এস অফিসার এবং সন্ত্রাস দমন শাখার প্রধান)। তিনি দাঁড়িয়েছিলেন ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস স্টেশনের ঠিক বাইরে। রাত ১০:৪৩-এ অশোক ফোনে জানিয়েছিলেন যে তিনি ওবেরয় ট্রাইডেন্ট হোটেলের পথে। তাঁর আট বছরের ছেলে অর্জুন তখন পেছন থেকে মাকে ডেকে বলেছিল “মা দাদ্দাকে ফোন করে এখনই বলো বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটটা পরে নিতে।” বিনীতা তাঁর স্বামীকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু অশোক ততক্ষণে অপারেশনের মাঝপথে। তিনি চাননি বাড়ি থেকে সেই সময় কেউ ফোন করে তাঁকে বিরক্ত করুক। |
|
অর্জুন ততক্ষণে খুশি মনে ঘুমিয়ে পড়েছিল। অন্তত বাবার কাছে খবরটা তো পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে। অর্জুনের ঘুম ভেঙে ওঠার মুহূর্তে নিউজ চ্যানেলগুলোতে তিনটে শব্দই ভেসে উঠছিল ‘অশোক কামতে শহিদ।’ অর্জুন জানতে পারেনি। ওকে দেখতে দেওয়া হয়নি। অশোকের দেহ নিয়ে বাড়িতে ফেরার সময় বিনীতা সবাইকে ফোনে জানিয়েছিলেন যে তিনি তাঁর ছোট্ট ছেলেটাকে এ বার তার বাবার মৃত্যুর খবরটা জানাতে চান। বাড়িতে ঢুকে ছেলেকে জড়িয়ে ধরে তিনি বলেছিলেন, “দাদ্দা (বাবা) অনেক মানুষের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন।” সে কথা শুনে অর্জুন কাঁপতে আরম্ভ করেছিল। মাকে বলেছিল, “তুমি আমাকে মিথ্যে কথা বলেছ!”
বিনীতা যখন অশোকের দেহটা বাড়িতে নিয়ে আসছিলেন তখন অর্জুন তাঁকে ফোনে জিজ্ঞেস করেছিল বাড়ির বাইরে এত ভিড় কেন? বিনীতা বলেছিলেন সব ঠিক আছে।
সেই অশুভ বুধবারের পর পেরিয়ে গিয়েছে আরও চার বছর। অর্জুন এখন ক্লাস সেভেনে। ও ক্রিকেট পাগল। এখন পিয়ানো বাজানোও শিখছে। কিন্তু এখনও বাবার শোকে মুহ্যমান। কামতে পরিবারের বাকিরাও তাই। বিনীতা একাই সামলেছিলেন সেই ঝড়ের মুহূর্ত। আরটিআই থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য সংগ্রহ করে তিনি তাঁর স্বামীর মৃত্যু সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেছিলেন।
গত শনিবার বিনীতার অ্যাঞ্জিওগ্রাফি হওয়ার কথা ছিল। “আমার শরীর এখন ভাল নেই। কিন্তু অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করতে হলে যা যা করার দরকার সেটা করতেই হবে। এগুলো হয়ে গেলে আমাকে ফোন করবেন,” শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি জানালেন।
কিন্তু তখনও কি তাঁকে বিরক্ত করা ঠিক হবে? “যদি আমি সুস্থ বোধ করি তা হলে অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করার আগেই কথা বলব,” তিনি কথা দিয়েছিলেন। তাঁর কণ্ঠস্বরে এমন একটা কিছু ছিল যে মনে হয়েছিল তিনি কথা রাখবেন। এবং রেখেওছিলেন।
তিনি যখন পুরোনো কথাগুলো বলতে শুরু করলেন, মনে হল এ যেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এক নারীর জীবন সংগ্রামের গল্প। “আমার বড় ছেলে রাহুল কোদাইকানাল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে পড়তে যায়। অর্জুন তখন আমার সঙ্গে পুণেতে। বাধ্য হয়ে বাড়ি বদল করেছিলাম। কারণ অর্জুনের পক্ষে এই রকম একটা পরিস্থিতিতে একই জায়গায় থেকে যাওয়াটা খুব কঠিন হত। ওদের বাবা চলে যাওয়ার পর প্রথম বছরটা একটা বই লেখার কাজে ব্যস্ত ছিলাম। যাতে অর্জুনের মনে হয় কিছু একটা ঘটছে। ইতিমধ্যে আমার শ্বশুরমশাই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। দ্বিতীয় বছরে অর্জুন মনে মনে খুব ভেঙে পড়েছিল। ও আমাকে হারানোর ভয় পেত। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগত। একটা সময় আমি ফোন না তুললে ও ভয়ে দিশেহারা হয়ে যেত। ওর ভয় ছিল একটাই। আমি যদি মারা যাই কে ওকে দেখবে,” বলছিলেন বিনীতা।
সব সমস্যার মধ্যে সেটাই যেন ছিল এক অন্যতম বড় সমস্যা। বিনীতা বলছিলেন, “ও যাতে মানসিক শক্তি না হারায়, যে কোনও পরিস্থিতির মুখোমুখি যাতে দাঁড়াতে পারে সে ভাবেই ওকে তৈরি করতে চেয়েছিলাম। ওকে এটা বোঝাতে চেয়েছিলাম যে আমি না থাকলেও ওকে দেখাশোনা করার লোকের অভাব হবে না। আমি ওকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে দিতে চাই না।” |
|
|
বিনীতা কামতে |
প্রয়াত অশোক কামতে |
|
এই সব কারণেই বিনীতা ঠিক করেন তিনি কখনও সন্তানদের সামনে কাঁদবেন না। “এমনকী যদি টেলিফোনে কারও সঙ্গে কথা বলতে গিয়েও কাঁদতাম, আমার ছেলেরা অসহায় মুখে সামনে এসে দাঁড়াত। আমি চাইনি ওরা এই পরিস্থিতির মধ্যে কাটাক। প্রেস কনফারেন্সে যাওয়ার থাকলে বাড়িতেই কেঁদে নিতাম, যাতে সাংবাদিকদের প্রশ্ন আমাকে আবেগপ্রবণ করে না তোলে। ধীরে ধীরে আমি পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে শিখলাম। কিন্তু আমিই জানতাম কী যন্ত্রণা মনে চেপে রেখেছি...” কথাগুলো বলতে বলতে হঠাৎ ভেঙে পড়েন বিনীতা।
এই প্রতিবেদকের পক্ষে বোঝা মুশকিল হচ্ছিল ঠিক কী করা উচিত তখন? কী বলে সান্ত্বনা দেওয়া যায়? “আমি কাঁদতে চাই না। কেঁদে মানুষের সহানুভূতি আদায় করতে চাই না। তবু কখনও কখনও নিজেকে সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। এমন সময়ও গিয়েছে যখন আমাকে অজান্তেই আঘাত পাওয়ার মতো প্রশ্ন করা হয়েছে। একদিন মিসেস কারকারে (২৬/১১-র শহিদ হেমন্ত কারকারের স্ত্রী) বলছিলেন, তাঁকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন ২৬/১১র ঘটনার দিন তাঁর প্রতিক্রিয়া ক্যামেরার সামনে অভিনয় করে দেখাতে। এই ধরনের কথা কতটা অমানবিক! একটা বাচ্চাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তার বাবার চিতায় আগুন দেওয়ার অনুভূতিটা কেমন ছিল? আমি বলতে চাই, মিডিয়া কী ভাবে এতটা হৃদয়হীন হতে পারে! এই ধরনের অমানবিক পরিস্থিতিতে আমার কথা বলতেও ভয় লাগে।”
তার পরে বিনীতা তাঁর স্বামীর অন্যান্য প্যাশনের কথা বলতে শুরু করেন। বই, সামরিক অস্ত্রশস্ত্র এই সব ব্যাপারে। “খুব কম মানুষই আমাদের সংগ্রহে রাখা অস্ত্রশস্ত্রের ব্যাপারে জানেন। সময় পেলে কোনও দিন আমি এগুলো দিয়ে একটা আস্ত মিউজিয়াম বানিয়ে ফেলতে পারি। পিস্তল হাতে ধরা আর ফায়ার করার কৌশলটা অশোক এত সহজ ভাবে করতে পারত! রবিবার দিন আমরা বাড়িতেই পিস্তল চালানোর সেশন করতাম। আমি পড়তাম মিলিটারি স্কুলে। সেখানে একটা পিস্তল ছিল আমার। বিয়ের পর অশোক আমার পুরোনো শখ চাগিয়ে তুলতে খুব উৎসাহ দিত। আমি এয়ার রাইফেল থেকে শূন্যে গুলি চালাতাম। সত্যি বলতে ভাল পারতামও।”
কিন্তু বিনীতা এখন খুব ভয় পান। “এখন পিস্তল চালানো ছেড়ে দিয়েছি,” বলেন তিনি। আর তার পরই স্মৃতির পথ বেয়ে চলে যান অশোকের ছেলেবেলার গল্পে। বলেন কী ভাবে বাবা-মার সঙ্গে এক বার স্পেনে বেড়াতে গিয়ে তিন বছরের ছোট্ট অশোক বন্দুকের প্রতি অসীম কৌতূহল দেখিয়েছিল। “দোকানে একটা খেলনা বন্দুক খুব পছন্দ হয়েছিল ওর। কিন্তু বন্দুকটা ছোট্ট অশোকের তুলনায় বেশ বড় হওয়ায় বাবা-মা কিনে দিতে চাননি। দোকান থেকে বেরিয়ে অশোক এত বায়না আর চেঁচামেচি জুড়ে দেয় যে পথচলতি লোকেরা ভেবে নিয়েছিল বাবা-মা বুঝি পয়সার অভাবে ওকে বন্দুকটা কিনে দেননি। এই ভেবে ওর পকেটে পয়সা গুঁজে দিতে থাকে ওরা। এই ঘটনায় প্রচণ্ড বিব্রত হয়ে বাবা-মা বন্দুকটা কিনে দেন অশোককে। |
আরও দুই শহিদের স্ত্রী: সালসকর ও কারকারে পত্নী |
বিনীতার কথায় উঠে এল তাঁর স্বামীর কম্যান্ডো কমিকস প্রীতির কথাও। ওয়ার-ফিল্মস দেখতেও ভালবাসতেন তিনি। কথাগুলো বলতে গিয়ে বিনীতার স্নেহমাখা গলার স্বরটা ভেসে উঠছিল বার বার।
“অশোক খালি বই কিনত। আর ‘জংলি মাস’ রান্না করতেও খুব ভালবাসত। আর ভালবাসত সবাইকে হাতে লেখা কার্ড পাঠাতে। ভ্যালেনটাইন’স ডে-তে আমাকে কার্ড দিতে কখনও ভুল হত না ওর। এক বার তো ইউনিফর্ম পরেই আমার জন্য ভ্যালেনটাইন’স ডের কার্ড কিনতে চলে গিয়েছিল,” বিনীতা বললেন।
অশোক সিনেমা দেখতে ভালবাসতেন?
“হিন্দি সিনেমা নিয়ে পাগল ছিল না মোটেই। আমরা ‘শ্যুটআউট অ্যাট লোখন্ডওয়ালা’ আর ‘আ ওয়েডনেসডে’ দেখেছিলাম। তবে বলিউড নিয়ে সে রকম কোনও মাথাব্যথা ছিল না ওর। যদিও ইংরেজি গান শুনতে খুব ভালবাসত।”
ওনির পরিচালিত ‘ব্যস এক পল’ সিনেমা থেকে আতিফ আসলামের গাওয়া ‘তেরে বিন’ গানটা খুব প্রিয় ছিল অশোকের। গানের কথাগুলোর সঙ্গে বিনীতার জীবনেরও একটা আশ্চর্য যোগাযোগ আছে। “তেরে বিন ম্যয় ইঁয়্যু ক্যয়সে জিয়া/ লে কর ইয়াদ তেরি রাতে মেরি কাটি।” ধীরে ধীরে গানের কথাগুলো আওড়ান বিনীতা। একটা অদ্ভুত শান্ত নীরবতা ঘিরে আসে।
“আমি নিস্তব্ধতাকে ঘৃণা করি। নিজেকে সব সময় ব্যস্ত রাখি। অশোক চলে যাওয়ার পরের বছরে লো ব্লাড প্রেসারের সমস্যায় ভুগছিলাম। কিন্তু এখন জানি সবটাই আমাকে সামলাতে হবে। আমাকে একটা জমি দেওয়া হয়েছিল। প্রায় ৩০০টি গাছ লাগিয়েছি সেটাতে। প্রতিদিন যত্ন করি ওদের। এটাই বলতে পারেন আমার স্ট্রেস বাস্টার,” বলেন বিনীতা।
এই মাসে আবার তাঁর কেসের একটা হিয়ারিং আছে। “আমরা কোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছি ২৬/১১-র রাতের সঠিক নথি যেন আমাদের দেওয়া হয়। যে কল রেকর্ডস বা নথি আমাদের দেওয়া হয়েছিল, তার সময়ও যেমন ছিল আলাদা, তেমনি নথিগুলোও ছিল ভিন্ন ভিন্ন হাতের লেখায়। যে সব তথ্য খুব সহজেই আমাদের পাওয়ার কথা, সে সবের জন্য কেন আমাকে আরটিআই (রাইট টু ইনফরমেশন) ফাইল করতে হবে! ব্যক্তি হিসেবে রাকেশ মারিয়ার বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই আমার। কিন্তু আমার স্বামীর মৃত্যুর সব খুঁটিনাটি নিয়ে অনেক মিথ্যে কথা বলতে দেখেছি ওঁকে। ওঁর সঙ্গে প্রথম বার দেখা করার আগেই আমি আমার হোমওয়ার্ক করে গিয়েছিলাম। সত্যিটা আমি জানি। ওঁর যদি সাহস থাকে তা হলে একসঙ্গে প্রেস কনফারেন্স করছেন না কেন? এই হিন্দি সিনেমাটা যদি রাকেশের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে হয়, তা হলে আমি কখনওই দেখতে চাই না। উনি যদি নিজেকে মহান দেখাতে চান, সেটা ওঁর ব্যাপার। কিন্তু আমি জানি আমি যা বলছি তার সবটাই তথ্যভিত্তিক।”
বিনীতার গলার স্বর অসম্ভব উত্তেজিত শোনায়। টেস্ট করতে যাওয়ার আগে এ রকম উত্তেজনা ওঁর শরীরের পক্ষে কাম্য নয়। তাই এই প্রতিবেদকের মনে হল হাসপাতালে যাওয়ার আগে ওঁকে একটু রেস্ট দেওয়া উচিত। ২৬/১১-র পর বিনীতার হৃদয়ের গভীরে যে ক্ষত তৈরি হয়েছে, অ্যাঞ্জিওগ্রাফে তা ধরা পড়বে না।
কিন্তু বেঁচে থাকার শর্ত যে অনেক! বিনীতা নিজেই বললেন, “সব কিছুর জন্য নিজেকে সুস্থ রাখতেই হবে।”
পুনশ্চ: শনিবার সন্ধেবেলা মোবাইলে একটা মেসেজ এল। “অ্যাঞ্জিওগ্রাফের রিপোর্ট এসেছে। আমি সুস্থ।” (স্মাইলি) বিনীতা কামতে। |
|
|
|
|
|