টুকরো খবর
চিকিৎসককে হেনস্থা, তৃণমূল নেতা অভিযুক্ত
ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত পাওয়া নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে আরামবাগ হাসপাতালের এক চিকিৎসককে হেনস্থার অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতের ঘটনা। রাজেশ চৌধুরী নামে ওই তৃণমূল নেতা তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পল্লিশ্রী এলাকার একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন এক রোগিণীর রক্তের প্রয়োজন হয় শুক্রবার রাত ১০টা নাগাদ। রোগিণীর এক আত্মীয় মহকুমা হাসপাতালে রক্ত নিতে এসেও তা পাননি। তিনি তৃণমূল নেতা রাজেশ চৌধুরীর দ্বারস্থ হন। তত ক্ষণে হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত নিয়ে যান নিজেকে ওই রোগিণীর পরিচিত হিসেবে দাবি করা হাসপাতালেরই চিকিৎসক বিশ্বজিৎ ঘোষ। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন রাজেশবাবু ও তাঁর অনুগামীরা। তখনই তাঁকে এবং ব্লাড ব্যাঙ্কের মেডিক্যাল অফিসারকে হেনস্থা করা হয় বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিশ্বজিৎবাবু। অভিযোগ উড়িয়ে গিয়ে রাজেশবাবু বলেন, “ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে আমাদের বলা হল, বিকেল চারটের পরে সুপারের অনুমতি ছাড়া রক্ত পাওয়া যাবে না। কিন্তু চিকিৎসক অনায়াসে তা পেলেন। বাধা দেওয়ায় উনি আমাদের মারধরও করেন। উনি নার্সিংহোমের সঙ্গেও যুক্ত।” হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার অজয় নিয়োগী বলেন, “যথাযথ কাগজপত্র না থাকায় ওই রোগিণীর আত্মীয়দের রক্ত দেওয়া যায়নি।” তিনি নার্সিংহোমের সঙ্গে যুক্ত কি না, সে প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে বিশ্বজিৎবাবু বলেন, “আমার পরিচিত ওই রোগিণীর জন্য রক্ত নিতে এসে হেনস্থা হলাম।”

খারাপ ইঞ্জেকশন বিক্রির দায়ে ধৃত দোকান মালিক
খারাপ হয়ে যাওয়া ইঞ্জেকশন বিক্রির অভিযোগে এলগিন রোডের এক ওষুধের দোকানের মালিককে শনিবার কালীঘাট থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃত ব্যক্তির নাম আনন্দ কাজারিয়া (৫৩)। ভবানীপুরে ‘বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজি’ হাসপাতালের কাছে ওই দোকানে খারাপ হয়ে যাওয়া গ্লুকোজ ইঞ্জেকশন বিক্রি করা হচ্ছে বলে ইনস্পেক্টররা জানতে পেরেছিলেন। এ দিন সকালে ড্রাগ কন্ট্রোলের অফিসারেরা ওই দোকানে গিয়ে একটি ‘ইনট্রাভেনাস’ ইঞ্জেকশনের নমুনা সংগ্রহ করেন। দেখা যায় ওই ইঞ্জেকশনে ছত্রাক রয়েছে। পরে দোকানে অভিযান চালিয়ে একই রকম বেশ কিছু ইঞ্জেকশন বাজেয়াপ্ত করা হয়। এর পরেই দোকান মালিকের বিরুদ্ধে কালীঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ড্রাগ কন্ট্রোলের এক অফিসার জানিয়েছেন, ওই দোকানটি থেকে ২২টি খারাপ ইঞ্জেকশন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ইঞ্জেকশন ১০০ মিলিলিটারের। এর পিছনে বড় চক্র রয়েছে বলে ওই অফিসার মনে করছেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.