যে সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে, কিংবা শীঘ্রই হয়ে যাবে, সেখানে প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী কর্তৃপক্ষকে ওই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে জানাল রাজ্য সরকার। শুক্রবার এই মর্মে একটি নির্দেশ জারি করেছে উচ্চশিক্ষা দফতর। তবে আপাতত কোনও অবস্থাতেই ছাত্র সংসদের নির্বাচন করা যাবে না। রাজ্য উচ্চশিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সুগত মারজিৎ শনিবার মহাকরণে এ কথা জানান। ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কলেজে-কলেজে হিংসা-হানাহানি লেগেই ছিল। গত ১২ ফেব্রুয়ারি হরিমোহন ঘোষ কলেজে নির্বাচনের মনোনয়ন তোলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত হন এক পুলিশকর্মী। ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজ্য সরকার
|
সুগত মারজিত |
একটি নির্দেশিকা জারি করে জানায়, আপাতত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন স্থগিত থাকবে।
কিন্তু ইতিমধ্যেই বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে বা যাবে। সেখানে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে রাজ্য সরকারের কাছে তা জানতে চায় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তার প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার রাজ্য সরকার ফের একটি নির্দেশিকা জারি করে এই ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নিয়ম মানতে বলল। পাশাপাশি সুগতবাবু শনিবার বলেন, “ছাত্র সংসদ নির্বাচনের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করে যে নির্দেশিকা জারি হয়েছে, তা বলবৎ থাকছে। তা খারিজ করে পাল্টা নির্দেশিকা জারি হওয়া পর্যন্ত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ছাত্র সংসদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে তাদের নিজস্ব নিয়ম মেনে। কিন্তু নির্বাচন কোনও ভাবেই করা যাবে না।”
সংসদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলে নতুন করে নির্বাচন ছাড়া আর কী পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে?
এ ব্যাপারে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলির নিজস্ব পৃথক নিয়ম আছে। কোনও কলেজের আইন অনুযায়ী, অধ্যক্ষ ছাত্র সংসদ পরিচালনার দায়িত্ব নিতে পারেন। কোথাও মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ছাত্র সংসদের কার্যকালের সময় বাড়ানো যেতে পারে। কোনও কলেজের নিয়মে আবার পরিচালন সমিতি বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সুগতবাবু জানিয়েছেন, নির্বাচন না করে বিকল্প কোন ব্যবস্থায় ছাত্র সংসদ পরিচালিত হবে, সেই সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের উপরেই ছাড়া হয়েছে। এ নিয়ে সরকার কোনও নির্দেশ দেবে না। |