সাধারণ মানুষের জন্য কিছুটা স্বস্তি। ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাসের দাম সিলিন্ডারে ৩৭.৫০ টাকা কমানোর কথা জানাল রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। ফলে ৯৪২ টাকার বদলে এখন তা পাওয়া যাবে ৯০৪.৫০ টাকায়। যাঁদের বছরে ৯টির বেশি গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে হয়, তাদের বোঝা কমাবে এই সিদ্ধান্ত। তবে ভর্তুকিযুক্ত সিলিন্ডারের দামে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। অন্য দিকে, যারা এককালীন বেশি পরিমাণ ডিজেল কেনে, তাদের জন্য সেই দাম লিটারে প্রায় ১ টাকা বাড়ানোর কথাও জানিয়েছে সংস্থাগুলি। সাধারণের জন্য ডিজেলের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা বাহিনী, ভারতীয় রেল, বিভিন্ন রাজ্য সরকারি সড়ক পরিবহণ সংস্থা ইত্যাদি নিজেদের ব্যবহারের জন্য এক সঙ্গে অনেক বেশি পরিমাণে ডিজেল কেনে। তাদের এখন থেকে লিটার পিছু ৯৪ পয়সা বেশি দিতে হবে। যুক্তমূল্য কর সমেত দিল্লিতে সেই দাম দাঁড়াবে ৫৮.৫৮ টাকা। অন্যান্য রাজ্যে তা বাড়বে লিটারে ১.২৫ টাকা পর্যন্ত। বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম বাড়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে তেল সংস্থাগুলি। সেই দাম বাড়ায় এখন পেট্রোল পাম্প থেকে ডিজেল বিক্রি খাতে তাদের লিটারে ক্ষতির পরিমাণ পৌঁছেছে ১১.২৬ টাকা। যার কিছুটা এই দাম বৃদ্ধির ফলে পুষিয়ে যাবে বলে মনে করছে তারা।
শুক্রবারই পেট্রোলের দাম লিটারে ১.৪০ টাকা বাড়িয়েছে সংস্থাগুলি। যুক্তি ছিল, আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম বাড়া এবং ডলারে টাকার দাম কমা। এর পর অনেকেরই ধারণা ছিল, হয়তো সাধারণ মানুষের জন্য ডিজেলের দামও বাড়াবে তারা। তবে তা না-হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পাবেন তাঁরা। তবে এখনও স্বস্তিতে নেই সংস্থাগুলি। তাদের দাবি, এ দিনের সিদ্ধান্তের পরেও চলতি অর্থবর্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত তিন তেল সংস্থার সম্মিলিত ক্ষতির অঙ্ক ১,৬৩,৫০০ কোটি টাকায় দাঁড়াবে।
উল্লেখ্য, দেশের আর্থিক বৃদ্ধিতে গতি আনতে রাজকোষের হাল ফেরাতে চায় কেন্দ্র। আর এ জন্য তাদের অন্যতম হাতিয়ার পেট্রোপণ্যের দাম। তাই এই খাতে ভর্তুকিতে রাশ টানতে জানুয়ারিতেই ডিজেলের দামের উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ আংশিক ভাবে তুলে নেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়। যার মধ্যে অন্যতম পদক্ষেপ ছিল এককালীন বেশি ডিজেল কেনা সংস্থাগুলির জন্যও দাম বাজারের হাতে ছেড়ে দেওয়া। সেই সিদ্ধান্তের পরই এ দিন দাম বাড়াল সংস্থাগুলি। |