|
|
|
|
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ |
১৯৯৬ সালের প্যানেল বাতিল, ফের ইন্টারভিউ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
১৯৯৬ সালে অবিভক্ত মেদিনীপুরে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে জানিয়ে প্যানেল বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই মতো ওই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় যারা প্রার্থী ছিলেন, তাঁদের ফের ইন্টারভিউ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি গোপাল সাহু বলেন, “উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে ১৯৯৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও সেই সময়ের ইন্টারভিউয়ে ডাক পাওয়া প্রার্থীদের পুনরায় ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। এর মধ্যে যাঁরা পূর্ব মেদিনীপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে হয়েছে শুক্রবারের সংসদ বৈঠকে।”
অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ ১৯৯৩ সালে জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ করে নিয়োগপত্র দেয়। ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। এরপর ১৯৯৫ সালে হাইকোর্টের নির্দেশে ওই প্যানেল বাতিল করে পুনরায় ইন্টারভিউ করে নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়। ১৯৯৩ সালে নিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ১৯৯৬ সালে ফের জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ ইন্টারভিউ নিয়ে নিয়োগপত্র দেয়। ওই নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও অনিয়মের অভিযোগ তুলে মামলা হয়। তার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি (গত ১৪ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন পুনরায় নিয়োগ পরীক্ষার নির্দেশ দেন।
অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ ভেঙে ২০০২ সাল থেকে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ হয়েছে। এই অবস্থায় নিয়োগ প্রক্রিয়া ফের শুরু করতে চলেছে দুই প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদই। এ দিকে, বারবার ইন্টারভিউ দিতে ক্লান্ত গত দু’দশক ধরে কর্মরত ওই প্রাথমিক শিক্ষকেরা। ময়নার এক প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, “এই ভাবে বারবার ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে এলাকায় শিক্ষক হিসাবে আমাদের বিশ্বাসযোগ্যতাও প্রশ্নের মুখে পড়ছে।” |
|
|
|
|
|