নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জাল সই কাণ্ডের জেরে মেদিনীপুর পুরসভার ক্ষমতায় থাকা নিয়ে মতভেদ দেখা দিয়েছে কংগ্রেসের মধ্যে। জেলা নেতৃত্বের একাংশের মত, জাল সই কাণ্ড নিয়ে যা চলছে, তাতে ক্ষমতা থেকে সরে আসাই ভাল। না-হলে আগামী পুর-নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে। যা দলের পক্ষে সুখকর হবে না। অন্য দিকে, শহর কংগ্রেস নেতৃত্বের অধিকাংশের মত, ক্ষমতা থেকে সরে এলেই পুরসভায় অস্থিরতা তৈরি হবে। যা সকলের কাছে অনভিপ্রেত। এরই মধ্যে জাল সই কাণ্ডে অভিযুক্ত ৩ জন কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের যে আবেদন করেছিলেন, শুক্রবার তা খারিজ হয়েছে। মেদিনীপুরের তৃণমূল পুরপ্রধান প্রণব বসু বলেন, “সই জাল করে পুরসভার প্রাপ্য লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এটা দুষ্টচক্রের কাজ। তিন জনের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে বলে জেনেছি। আশা করব, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে।”
সম্প্রতি অবৈধ ভাবে জলের সংযোগ দেওয়ার জন্য পুরসভার স্ট্যাম্প এবং রসিদ জাল করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল ও কংগ্রেস জোট পরিচালিত মেদিনীপুর পুরসভায়। অভিযোগ, জলের সংযোগের জন্য বেশ কয়েকজন ব্যক্তি অর্থ দিলেও তা পুরসভার কোষাগারে জমা পড়েনি। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে শেষমেশ এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন পুর-কর্তৃপক্ষ। প্রাক্তন উপপুরপ্রধান সুভাষময় ঘোষ, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর কৃষ্ণা ঘোষ (সুভাষময়বাবুর স্ত্রী), উৎপল চট্টোপাধ্যায় এবং অমিতাভ মল্লিকের নামে অভিযোগ দায়ের হয়। অমিতাভবাবু বাদে বাকি ৩ জন হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন। শুক্রবার সেই আবেদন খারিজ হয়।
এ দিকে, জাল সই কাণ্ড নিয়ে শোরগোল পড়তেই উপ-পুরপ্রধান কংগ্রেসের এরশাদ আলি এবং দলের শহর সভাপতি সৌমেন খানের কাছে এই বিষয়ে মতামত চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি স্বপন দুবে। সপ্তাহ ঘুরেছে। সেই চিঠির উত্তর শুক্রবার পর্যন্ত জেলা সভাপতির কাছে এসে পৌঁছয়নি। চিঠিতে স্বপনবাবু তাঁর নিজের মতপ্রকাশ করে লিখেছিলেন, “বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা ও পুরসভার ঘটনাটি বিশ্লেষণ করে আমার মনে হয়েছে পুরবোর্ড থেকে আমাদের সরে আসা একান্ত প্রয়োজন। উপ-পুরপ্রধানের দায়িত্বও ত্যাগ করা জরুরি।” কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে জেলা সভাপতির এই মতের সঙ্গে একমত নন শহর কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতৃত্ব। ইতিমধ্যে এই নিয়ে বৈঠক করেছে শহর কংগ্রেস। সেই বৈঠকে অধিকাংশ কংগ্রেস নেতা এই মুহুর্তে ক্ষমতা থেকে সরে না-আসার পক্ষে সওয়াল করেন। উপ-পুরপ্রধান এরশাদ আলি শুক্রবার বলেন, “অনেকেই পুরসভা থেকে সরে না-আসার পক্ষে। বৈঠকে এই মতই উঠে এসেছে। জেলা সভাপতির চিঠি পেয়েছিলাম। শীঘ্রই উত্তরে বিষয়টি জানাব।”
ডেপুটেশন। স্কুল-কলেজ-অফিস থেকে বাস-ট্রেন, সর্বত্র নারীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা, নারী নিগ্রহের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দেওয়া, অবিলম্বে মদের দোকান, নেশার দ্রব্য আমদানি, ইভটিজিং বন্ধ করা-সহ বেশ কিছু দাবিতে শুক্রবার জেলাশাসকের দফতরে ডেপুটেশন দেয় নারী নিগ্রহ প্রতিরোধ কমিটি। |