লোক-সংস্কৃতি ফিরুক সুন্দরবনে, চায় দুই বাংলাই
সুন্দরবন নিজের চরিত্র হারাচ্ছে বলে মনে করেন করেন ভারত ও বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে গোসাবার পাখিরালায় হয়ে গেল তিনদিন ব্যাপী ‘পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে লোক সংস্কৃতির রূপান্তর’ শীর্ষক আলোচনা সভা। সেখানেই উঠে আসে এই মত। যোগ দিয়েছিলেন দুই বাংলার ৬০ জন অধ্যাপক ও অধ্যাপিকা। বাংলাদেশের ঢাকা, রাজশাহি, উত্তরা ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি ছিলেন ভারতের কলকাতা, যাদবপুর, কল্যাণী, বিরসা মুন্ডা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা।
বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু দায়েন বলেন, “মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এসেছে। সুন্দরবন তার ব্যতিক্রম নয়। শহুরে মানুষের আগমনের জন্য সুন্দরবনের লোক সংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে। বনবিবির উৎসব, গাজির গান, দুখে যাত্রা, মনসা গান, টুসু গান, আদিবাসী নৃত্য প্রভৃতি গ্রামীণ উৎসব আজকাল দেখাই যায় না।” কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সনৎ কুমার নস্কর বলেন, “লোক সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য বছর চারেক আগে আমরা ‘লৌকিক’ নামে একটি সংগঠন তৈরি করেছি। তার মাধ্যমে সুন্দরবনের লোক সংস্কৃতির উপর গবেষণা চালাচ্ছি। খুব তাড়াতাড়িই আমরা সমস্ত নথিপত্র সরকারের হাতে তুলে দেব। আমরা চাই সুন্দরবনের লোক সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকার এগিয়ে আসুক।” আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য ইয়াসমিন আরালেখা, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যক্ষ বরুণ কুমার চক্রবর্তী প্রমুখ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.