|
|
|
|
আজকের শিরোনাম |
সাধারণ বাজেট ২০১৩-১৪ |
আজ ২০১৩-১৪ আর্থিক বছরের সাধারণ বাজেট, স্বাধীন ভারতের ৮২তম। দেশের প্রথম বাজেট পরিবেশন করেন তত্কালীন অর্থমন্ত্রী আর কে সম্মুখম চেট্টি, ১৯৪৭ সালে।
বর্তমান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের এটি অষ্টম বাজেট পরিবেশন। অর্থমন্ত্রী হিসেবে তিনিই সব থেকে বেশি বার এই দায়িত্ব পালন করলেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন যশোবন্ত সিনহা, ওয়াই বি চহ্বান ও সি ডি দেশমুখ ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। অর্থমন্ত্রী না হলেও, মোরারজি দেশাই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে বাজেট পেশ করেন দশ বার।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের অনুমোদনে বাজেট পেশ শুরু হয় বেলা এগারোটায়। চিদম্বরম কী এ বারে পারলেন জনসাধারণ ও একই সঙ্গে শিল্পমহলকে খুশি করতে?
শুরুর বক্তব্য
• পৃথিবী জুড়ে টাকার উত্থান-পতন যে ভারতেও প্রভাব ফেলবে সেটাই স্বাভাবিক। ২০১০ সাল থেকেই যে আর্থিক অবনতি ঘটেছে, তা থেকে বের হয়ে আসাটাই আসল লক্ষ্য হওয়া উচিত্।
• গত দুই আর্থিক বর্ষে দেশ ৮ শতাংশ উন্নতির পথেই এগিয়েছে। অর্থমন্ত্রী জোরের সঙ্গে বলেছেন আগামী দিনে এই উন্নতি-রেখা অবশ্যই হয়ে উঠবে লক্ষ্যনীয়।
• মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার অনেকটাই সফল হয়েছে।
•
অবশ্য প্রয়োজন ব্যয় সংকোচনের।
• ২০১৩-১৪ সালের পরিকল্পনা খাতে খরচ ৫.৫৫ লক্ষ কোটি টাকা
• ২০১৩-১৪ সালের পরিকল্পনা বহির্ভূত খরচ ১৬.৬৫ লক্ষ কোটি টাকা |
বরাদ্দ
• সুসংহত শিশু প্রকল্পে বরাদ্দ ১৫,৫৮০ কোটি টাকা।
• তফশিলি জাতি-উপজাতির জন্য ৪১ হাজার কোটি টাকা।
• মহিলা ও শিশুদের জন্য যথাক্রমে ৯৭ ও ৭৭ হাজার কোটি টাকা।
• স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থা খাতে ৩৭ হাজার কোটি টাকা।
• শিক্ষা খাতে
৬৫ হাজার কোটি টাকা।
• শিক্ষা খাতে সেস বেড়ে হল ৩
শতাংশ।
• ইউনানি, হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদ ক্ষেত্রেও বরাদ্দ বৃদ্ধি।
• সর্বশিক্ষা অভিযানে ২৭ হাজার কোটি টাকা।
• ‘আরবান মিশন’-এর
জন্য ২১ হাজার কোটি টাকা।
• জেএনএনইউআরএম প্রকল্পের জন্য ১৪ হাজার কোটি টাকা। ১০ হাজার বাস কেনার পরিকল্পনা আছে।
• গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য বিশেষ প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ল ৪৭ শতাংশ।
• সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ ৩,৫০০ কোটি টাকা। যাবতীয় খরচ করা হবে মৌলানা আজাদ ফাউন্ডেশন-এর মাধ্যমে।
• মিড ডে মিল প্রকল্পের জন্য ১৩,২১৫
কোটি টাকা।
• পরিশ্রুত পানীয় জলের জন্য ১৫,২৫০ কোটি টাকা।
• নাবার্ড-এর ওয়্যারহাউস তৈরির জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা।
• প্রতিবন্ধী উন্নয়ন খাতে ১১০ কোটি টাকা।
• কৃষি গবেষণার জন্য ২ হাজার কোটি টাকা।
• কৃষি ঋণের জন্য ২৭
হাজার কোটি টাকা।
• দ্বিতীয় সবুজ বিপ্লবের জন্য পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি পাবে এক হাজার কোটি টাকা।
• খাদ্য সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বেড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা।
• মাইক্রোফিনান্স খাতে ১০৪ কোটি টাকা।
• রাজীব গাঁধী ইকুইটি স্কিমে মিউচুয়াল ফান্ড ও শেয়ারে বিনিয়োগে আয়করের ঊর্ধসীমা বাড়ানো হল বাত্সরিক ১০ লাখ থেকে ১২ লাখ টাকা।
• প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বেড়ে ২,০৩,৬৭২
কোটি টাকা।
• পারমাণবিক
শক্তি উত্পাদনে ৫,৫৮০ কোটি টাকা।
আগামী পরিকল্পনা
• খাদ্যশষ্যের ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগের হার বৃদ্ধির চেষ্টা।
• শিশু প্রশিক্ষণের দিকে থাকবে বিশেষ নজর।
• রাস্তা তৈরির জন্য ‘রেগুলেটরি অথরিটি’ গড়ার প্রস্তাব।
• ৩০ হাজার কোটি টাকার বন্ড তোলা হবে
বাজার থেকে।
• পরিকাঠামোর জন্য কিছু সংস্থা করমুক্ত বন্ড ছাড়বে বাজারে, যার আনুমানিক মূল্য হবে
৫০ হাজার কোটি টাকা।
• এখন থেকে বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকেও পাওয়া যাবে কৃষি ঋণ।
• আগামী বছরে খাদ্যশষ্য উত্পাদন বেড়ে হবে ২৫০ মিলিয়ন টন।
• পশ্চিমবঙ্গের সাগর ও অন্ধ্রপ্রদেশে গঠিত হবে গভীর সমুদ্রবন্দর, খরচ হবে ৭৫০০
কোটি টাকা।
• এই মুহূর্তে ৪২,৮০০ ভারতীয় ১ কোটি টাকার ওপরে কর দেন, জানালেন অর্থমন্ত্রী। কর ব্যবস্থার কিছু পরিবর্তন চান তিনি
— কোনও সংস্থা ১০০ কোটি বিনিয়োগ করলে, ছাড় পাবে ১৫ শতাংশ।
— ২৫ লাখের প্রথম গৃহঋণে সুদের ওপর কর ছাড় দেড় লাখ থেকে বেড়ে হল আড়াই লাখ।
— কর পরিকাঠামো থাকছে অপরিবর্তীত।
— ২ থেকে ৫ লাখ টাকা বার্ষিক আয় হলে ২ হাজার টাকা কর ছাড়।
— ১ কোটি টাকা বার্ষিক আয়ে ১০ শতাংশ বেশি সারচার্জ দিতে হবে।
— ৫০ লাখ টাকার বেশি মূল্যের সম্পত্তির জন্য দিতে হবে ১
শতাংশ কর।
— কৃষিজমি কেনাবেচায় আর কর লাগবে না।
— পরিষেবা কর ও উত্পাদন শুল্ক
অপরিবর্তীত।
— সিকিউরিটি ট্রানজাকসান ট্যাক্স .১৭ শতাংশ থেকে কমে হল .১
শতাংশ।
— কমোডিটি
ট্রানজাকসান ট্যাক্স (কৃষিজাত দ্রব্য ছাড়া) শুরু হবে .১
শতাংশ হারে।
• সম্পূর্ণ মহিলা-পরিচালিত ব্যাঙ্কের জন্য বরাদ্দ ১ হাজার কোটি টাকা। শুধু মাত্র মহিলারাই ঋণ পাবেন এখান থেকে।
• মহিলাদের সুরক্ষায় ‘নির্ভয়’ প্রকল্প গ্রহণ,
বরাদ্দ ১ হাজার কোটি টাকা।
• খাদি বাঁচাতে ৮ হাজার ‘ক্লাস্টার’ তৈরি করা হবে যাতে উপকৃত হবে ৪ লাখ শ্রমিক।
• প্রতি জেলায় এলআইসি ও জিআইসি গঠনের প্রস্তাব।
• আগামী অক্টোবর থেকে সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে শুরু হবে এটিএম পরিষেবা।
• সমস্ত পোস্ট অফিসকে ‘কোর ব্যাঙ্কিং’-এর আওতায় আনা হবে।
• পাতিয়ালায় তৈরি করা হবে জাতীয় ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
• রায়পুর ও রাঁচিতে তৈরি হবে জাতীয় জৈব প্রযুক্তিকেন্দ্র।
• তেল ও সোনা আমদানি কমাতে হবে।
• রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যঙ্কগুলিতে বিদেশি লগ্নির পরিমাণ ২০
শতাংশ থেকে বেড়ে হল ২৬ শতাংশ।
|
এক নজরে |
দাম
বাড়ল |
দাম
কমল |
• বিদেশি গাড়ি • সেট টপ বক্স
•
মোবাইল: ২ হাজার টাকার বেশি দামের
• রূপো •
মার্বেল •
সিগারেট
•
এসি রোস্তোরাঁয় খাওয়ার খরচ |
• বিদেশি জুতো ও চর্মজাত দ্রব্য
• জামা কাপড়
• কার্পেট |
|
|
তিন রাজ্যে অপরিবর্তীত শাসক দল, মিশ্র ফল পশ্চিমবঙ্গে |
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় ভোট গ্রহণ করা হয়। আজ তার বিধানসভা ভোটের ফলাফল। সকাল ৮টায় ভোট গণনা শুরু হয়। প্রথমে পোস্টাল ব্যালট গোনা হয় ও পরে ইভিএম-এর ভোট গণনা হয়। ভোট গণনা হয় রাজ্যের বিভিন্ন জেলা এবং মহকুমা স্তরের মোট ১৭টি কেন্দ্রে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুয়াযী ত্রিপুরা বিধানসভার ৬০টি আসনের ২৩টিতে জিতে গেছে বাম। ২৭টি আসনে এগিয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠের দিকে অনেকটাই এগিয়ে গেছে মানিক সরকার নেতৃত্বাধীন বাম দলগুলি। ধমপুরে এগিয়ে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। কংগ্রেস জিতেছে ৩টিতে, এগিয়ে আছে ৬টি আসনে।
তবে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ছবিটা মিশ্র। তিন বিধানসভা নির্বাচনে একটি করে আসনে জিতেছে কংগ্রেস, শাসক তৃণমূল ও বিরোধী বাম। নলহাটিতে ফব প্রার্থী দীপক চট্টোপাধ্যায় জিতেছেন ৭০৭০ ভোটে। ইংরেজবাজারে ২০৪৫২ ভোটে জিতেছেন তৃণমূলের মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ন চৌধুরী। তবে রেজিনগরে অটুট অধীর-ম্যাজিক। কংগ্রেস প্রার্থী রবিউল আলম চৌধুরী জিতেছেন ১১৩৬৫ ভোটে। তৃতীয় স্থানে শেষ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী ওরাজ্যের মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর।
অন্যদিকে নাগাল্যান্ডে সম্ভবত ফের ক্ষমতায় আসতে চলেছে শাসক নাগা পিপলস ফ্রন্ট। এখনও পর্যন্ত ঘোষিত আসনের মধ্যে ১৮টিতে জয়ী হয়েছে তারা, এগিয়ে রয়েছে আরও ১১টি আসনে। ফলে ম্যাজিক ফিগারের প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে তারা।
মেঘালয়তেও ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে শাসক কংগ্রেস-এনসিপি জোট। এখানে কংগ্রেস দু’টি কেন্দ্রে জিতলেও এগিয়ে রয়েছে আরও ২৯টি আসনে। এনসিপিও এগিয়ে রয়েছে একটি আসনে। ফলে তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কোনও পরিবর্তন হল না, ক্ষমতায় থেকে গেল শাসক জোটই।
|
ত্রিপুরা |
ত্রিপুরা (৬০/৬০) |
বাম |
কংগ্রেস |
অন্যান্য |
জয়ী/এগিয়ে |
২৩/২৭ |
৩/৬ |
০/১ |
পশ্চিমবঙ্গের তিন কেন্দ্রের উপর্নিবাচনের ফলাফল |
মালদা |
কংগ্রেস |
তৃণমূল |
ফব |
বিজেপি |
ইংরেজবাজার |
পরাজিত |
২০৪৫২ ভোটে
|
পরাজিত |
পরাজিত |
|
বীরভূম |
কংগ্রেস |
তৃণমূল |
ফব |
বিজেপি |
নলহাটি |
পরাজিত
|
পরাজিত |
৭৭৭৬ ভোটে |
পরাজিত |
|
মুর্শিদাবাদ |
কংগ্রেস |
তৃণমূল |
আরএসপি |
বিজেপি |
রেজিনগর |
১১৩৬৫ ভোটে |
পরাজিত |
পরাজিত |
পরাজিত |
|
|
|
|
|
|
|