শিলিগুড়ি পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটের ফলাফল পুর্নগণনার নির্দেশ দিলেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (সেকেন্ড কোর্ট) সুব্রতা হাজরা। আগামী ১ মার্চ দুপুরে শিলিগুড়ি আদালতে ওই পুর্নগণনা হবে। মঙ্গলবার আদালতের ওই নির্দেশের পরেই সিপিএম এবং তৃণমূলের চাপান-উতোর শুরু হয়েছে। ২০০৯ সালে শিলিগুড়ি পুরসভা ভোটে ওই ওয়ার্ডে জেতেন সিপিএম প্রার্থী মায়া পাশোয়ান। ফলাফল ঘোষণার পর বিরোধী তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী অজন্তা বিশ্বাস গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন। দার্জিলিং জেলা এবং শিলিগুড়ি আদালতে মামলা চলার পর এদিন বিচারক রায় ঘোষণা করেছেন।
সরকারি আইনজীবী পীযূষ ঘোষ বলেন, “বিচারক দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে ওয়ার্ডের রেজাল্ট পুর্নগণনার নির্দেশ দিয়েছেন। মহকুমাশাসক-সহ নির্বাচনী আধিকারিকদের উপস্থিতিতে গণনা হবে।” এই বিষয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “ওই মামলার বিষয়ে আমি ওয়াকিবহাল। আমাদের বিচার ব্যবস্থার উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। দেখা যাক কী হয়!” ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা হলেন সিপিএম নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। অশোকবাবু’র অভিযোগ, “ভিত্তিহীন একটি বিষয় নিয়ে তৃণমূল রাজনীতি করে যাচ্ছে। ওই ওয়ার্ডে আমাদের প্রার্থী সরকারি ভাবে জিতেছেন। আর পুরসভার ভোট সংক্রান্ত মামলা জেলা কোর্টে হয়। আমরা জেলা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।” আদালত সূত্রের খবর, ২০০৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর শিলিগুড়ি পুরসভার ভোট হয়। ১৫ সেপ্টেম্বর ভোটের রেজাল্ট বার হয়। ৪৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩০টি ওয়ার্ডে কংগ্রেস-তৃণমূল প্রার্থীরা জেতেন। বামফ্রন্টের হাত থেকে পুরসভার ক্ষমতা দখল করে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট। ২০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী অজন্তা দেবী ১০২ ভোটে সিপিএম প্রার্থী মায়া দেবীর কাছে হেরে যান বলে ঘোষণা হয়। অজন্তাদেবীর আইনজীবী সন্দীপ মণ্ডল বলেন, “ওয়ার্ডে একটি বুথে ১০০ শতাংশ ভোট পড়ায় অভিযোগকারীর সন্দেহ বাড়ে। অজন্তাদেবীর হিসাব অনুসারে তিনি ৪০ ভোটে জিতেছিলেন। কিন্তু কারচুপি করে তাঁকে হারানো হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। জেলা আদালত থেকে মামলা শিলিগুড়ি আদালতে পাঠানো হয়।” সিপিএম কাউন্সিলর মায়া পাশোয়ানের আইনজীবী পার্থ চৌধুরী বলেন, ‘‘মামলা দার্জিলিং আদালতে চলছে। ওই আদালতে ১ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। শিলিগুড়ি আদালতের বিষয়টি আমরা দেখছি।” |