সেট-টপ বক্স নিয়ে গ্রাহকদের
হয়রানি, অভিযুক্ত অপারেটররা

বেলঘরিয়া থেকে বজবজ, কিংবা বারুইপুর থেকে ব্যান্ডেল— সর্বত্র টিভির সেট-টপ বক্স নিয়ে অভিযোগ। কারও অভিযোগ, ঘোষিত দামের থেকে অনেক বেশি দামে বাক্স নিতে বাধ্য করেছেন স্থানীয় কেবল অপারেটর। কেউ জানাচ্ছেন, আগাম টাকা দিয়েও বক্স পাননি। শুধু বাক্সই নয়, নিজেদের সঙ্গতি অনুযায়ী পছন্দমতো চ্যানেল দেখার অধিকারও গ্রাহকদের নেই।
মঙ্গলবার দিল্লিতে এক বিজ্ঞপ্তিতে ট্রাই জানিয়েছে, টিভির গ্রাহক কত টাকার মধ্যে কী কী চ্যানেল দেখতে চান, সে সব তথ্য অপারেটর, এমএসওদের লিখিত ভাবে রাখতে হবে। আরও বলা হয়েছে, গ্রাহককে কম্পিউটারে ছাপানো বিল দিতে বাধ্য অপারেটররা। এর জন্য একটি সক্রিয় গ্রাহক পরিচালন ব্যবস্থায় (‘সাবস্ক্রাইবার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ বা এসএমএস) গ্রাহকদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা সম্পর্কিত সব তথ্য মজুত রাখতে এমএসওগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে ট্রাই।
কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রক চার মেট্রো শহরে কেবল টিভির সম্পূর্ণ ডিজিটাল সম্প্রচার বাধ্যতামূলক ঘোষণা করলে কলকাতায় এর বিরুদ্ধে ময়দানে নামে রাজ্য। গত বছর ৩১ অক্টোবর মধ্যরাতের পর থেকে একে একে সব ক’টি অ্যানালগ সিগন্যাল বন্ধ হতে থাকে। এখন সেট-টপ বক্স না থাকলে কয়েকটি বাংলা খবরের চ্যানেল ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছে না।
সল্টলেকের গৃহবধূ সুনীপা মিত্রের অভিযোগ, তাঁর অপারেটর বলেছিলেন, সেট-টপ বক্স দরকার নেই। তিনি শুনতে না চাইলে অপারেটর জানিয়ে যায়, যন্ত্রই অমিল। এখন তিনি চ্যানেল দেখতে পাচ্ছেন না। হাওড়ার প্রদোষ ঘোষ বলেন, “আমাকেও অপারেটর বলেছিল যন্ত্র লাগবে না। চাপ দেওয়ায় গত মে মাসে লোকটি ৬০০ টাকা নিয়ে বলে যায় যন্ত্র নেই, এলে দেবে। আর টাকা লাগবে না।” গত সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ১৮০০ টাকা দিয়ে তিনি যন্ত্র হাতে পেয়েছেন। বজবজের তপন চন্দ বলেন, “সংবাদপত্রে বেরিয়েছে, এমএসও-রা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে বলে এসেছে এই যন্ত্রের দাম সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা। কিন্তু অপারেটর বলেছে, যন্ত্র পেতে গেলে তার দামই দিতে হবে।” তাঁকে দিতে হয়েছে ২১০০ টাকা।
এমএসও মন্থন সংস্থার ডিরেক্টর সুদীপ ঘোষ বলেন, “৬৯৯ এবং ৯৯৯ টাকায় দু’রকম যন্ত্র গ্রাহকদের ওই দামেই দিতে বাধ্য অপারেটররা। লাভ রাখার কথা নয়।” কিন্তু অভিযোগ, একটি এলাকায় একাধিক অপারেটর না-থাকায় প্রতিযোগিতা যেমন নেই, তেমনই গ্রাহকদেরও অপারেটর বদলানোর সুযোগ নেই। তাই এই অবস্থা।
কসবা অঞ্চলের বড় অপারেটর তারক সাহা স্বীকার করেন, “কেবল ব্যবসাকে এতদিন ধরে চালাতে গিয়ে এক ধরনের নীতি নিতে হয়েছিল অপারেটরদের। তাতে অন্যায় হয়েছে।” প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের আর এক বড় অপারেটরের বক্তব্য, “বহুকাল ধরে গ্রাহকদের সঙ্গে যেমন খুশি ব্যবহার করে এসেছে অপারেটররা। এ বার তা বদলানোর সময় এসেছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.