পুরুলিয়া-কোটশিলা ডবল লাইনের সমীক্ষা ছাড়া রেল বাজেটে পুরুলিয়া-বাঁকুড়ার প্রাপ্তির ভাঁড়ার প্রায় শূন্য। মঙ্গলবার সংসদে রেলমন্ত্রী পবন বনশলের রেল বাজেটের পর দুই জেলার বিভিন্ন মহল থেকে হতাশাব্যঞ্জক প্রতিক্রিয়াই মিলেছে।
বাজেটের পর পুরুলিয়ার ফরওয়ার্ড ব্লক সাংসদ নরহরি মাহাতো বলেন, “রেল বাজেটে আমরা পুরোপুরি হতাশ। পুরুলিয়া-কোটশিলা ডবল লাইনের দাবি দীর্ঘদিনের। এই লাইনের শুধু সমীক্ষা হবে বলে রেলমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন। অথচ বাংলার সাংসদ রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী আমাদের কাছে কয়েকটি প্রস্তাব চেয়েছিলেন। আদ্রায় উড়ালপুল, রাঁচি ও কলকাতার মধ্যে একটি দ্রুতগামী ট্রেন (ভায়া পুরুলিয়া), আদ্রা-ঝাড়গ্রাম বা পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম রেলপথ, নয়াদিল্লি-ভুবনেশ্বর (ভায়া পুরুলিয়া) ট্রেন চালানোর দাবি তাঁর কাছে জানিয়েছিলাম। কোন দাবিই স্থান পায়নি।” রাজ্যের মন্ত্রী শন্তিরাম মাহাতোও বলেন, “এই বাজেটে আমরা হতাশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী হিসেবে আদ্রা ও আনাড়ায় যে দু’টি প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন, বাজেটে ওগুলির বরাদ্দ নিয়ে কিছু শুনলাম না। আদ্রা-ঝাড়গ্রাম রেলপথেরও উল্লেখ নেই।”
আদ্রা-ঝাড়গ্রাম রেলপথ নির্মাণ সংগ্রাম সমিতির মুখপাত্র মানবাজারের বাসিন্দা আনন্দময় সেনের কথায়, “সম্প্রতি জয়চণ্ডী পাহাড় স্টেশনের নতুন ভবনের উদ্বোধন করতে এসেছিলেন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী। তাঁর কাছেও আমরা আদ্রা-ঝাড়গ্রাম রেলপথ তৈরির দাবি জানিয়েছিলাম। আশায় ছিলাম!” দক্ষিণ-পূর্ব রেলের রেলওয়ে ইউজার্স অর্গানাইজেশনের যুগ্ম সম্পাদক দেবু চক্রবর্তীর কথায়, “যাত্রী পরিষেবার স্বার্থে পুরুলিয়া-খড়গপুর দু’টি মেমু চালানো, পুরুলিয়া-হাওড়া মান্থলি টিকিট, আদ্রা-ঝাড়গ্রাম রেলপথ-সহ নানা দাবি ছিল। কিছুই হল না।” |