বারাসতের শ্লীলতাহানি ও মারধরের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত, কাশিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য নিখিল দাসকে ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত।
নিখিলকে বারাসত আদালতে তোলা হয়। আদালত-চত্বরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো
|
—নিজস্ব চিত্র |
হয়েছে। আমি ওই ঘটনায় যুক্ত নই।” কে তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাল? সিপিএম-ই তাঁকে ফাঁসিয়েছে বলে অভিযোগ করেন নিখিল। তাঁর দাবি, “ওই কিশোরীর মা সিপিএমের লোক।”
নিখিল শ্লীলতাহানির ঘটনার সঙ্গে রাজনীতি জড়িয়ে দিতে চাইলেও বাসিন্দারা অবশ্য জানান, ওই তরুণীর মা কোনও দিনই সিপিএমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। বরং কয়েক বছর আগে তিনি কাশিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতেরই তৃণমূল সদস্য ছিলেন। এখন তিনি অবশ্য সরাসরি কোনও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। বারাসত ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের তরুণ চক্রবর্তীও এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্যই সমর্থন করেছেন। তিনি বলেন, “নিখিল ঠিক কথা বলেননি। ওঁর (ওই কিশোরীর মায়ের) সঙ্গে সিপিএমের কোনও যোগ নেই।”
রবিবার বিকেলে বারাসতের বামনগাছিতে হামলার পরে আক্রান্ত তরুণী থানায় নিখিল, তাঁর ভাই তারক এবং ভাগ্নে সোমনাথ সর্দারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। গ্রেফতার করা হয়েছিল তারক ও সোমনাথকে। সোমনাথ এর আগেও ডাকাতির একটি মামলায় ধরা পড়ে। সম্প্রতি সে ওই মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছিল।
ঘটনার পরেই নিখিলের পরিবারের এক মহিলা আক্রান্ত তরুণীর দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধেও পাল্টা শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে ওই দুই ভাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাসিন্দাদের প্রশ্ন, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে যদি আক্রান্ত তরুণীর দুই ভাইকে গ্রেফতার করা হয়, তা হলে সেই একই অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও নিখিলকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন? চাপে পড়ে সোমবার রাতে ধরা হয় নিখিলকে। |