ফের বনগাঁয় আক্রান্ত পুলিশ।
দিন কয়েক আগে স্মারকলিপি দেওয়ার নাম করে শাসক দলের পতাকা নিয়ে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল বনগাঁ থানায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বনগাঁর কালুপুরে গরুপাচারকারীদের কাছ থেকে প্রকাশ্য রাস্তায় ঘুষ নিয়েছেন এই অভিযোগে দুই পুলিশকর্মীকে দীর্ঘক্ষণ আটক করল ক্ষুদ্ধ জনতা। ছাড়াতে গিয়ে জনতার হাতে আটকে পড়েন আরও তিন পুলিশকর্মী।
অবশ্য এ দিনের বিক্ষোভে কোনও রাজনৈতিক রং ছিল না। জেলা পুলিশ সুপার সুগত সেন বলেন, “এসডিপিওকে অভিযোগের তদন্ত করতে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে আমাদের নজর রয়েছে।”
কালুপুর বাজার এলাকা দিয়ে গরু পাচারের অভিযোগ নতুন নয়। তবে গত কয়েক মাস ধরে সেখানে এলাকাবাসী গরু পাচার বন্ধের দাবিতে সংগঠিত আন্দোলন শুরু করেছেন। পাচারকারীদের সঙ্গে পুলিশের একাংশের আর্থিক লেনদেন রয়েছে বলেও ক্ষোভ রয়েছে এলাকায়।
|
মঙ্গলবার বিকেলে পাচারের মতলবে বেশ কয়েকটি ট্রাকে করে গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কালুপুর বাজার দিয়ে। তেমনই একটি ট্রাক দাঁড় করিয়ে দুই পুলিশকর্মী ঘুষ নেন বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তার পরেই খেপে ওঠে জনতা।
কয়েকশো মানুষ প্রথমে দুই পুলিশকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে মারধর করে। তার পর কালুপুর বাজারের কাছে দোকানে আটকে রাখে। যশোর রোডে গাছের গুঁড়ি ফেলে শুরু হয় অবরোধ। খবর পেয়ে দুই পুলিশকর্মীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান বনগাঁ থানার সাব-ইনস্পেক্টর রামজয় কুণ্ডু। জনতা তাঁদেরও মারধর করে আটকে রাখে। অভিযোগ, পুলিশের লাঠি কেড়ে নিয়ে তা দিয়েই মারা হয় পুলিশকর্মীদের। বনগাঁ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ঢোকার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। রাতে প্রায় ৮টা নাগাদ এসডিপিও (বনগাঁ) রূপান্তর সেনগুপ্তের নেতৃত্বে বনগাঁ, গাইঘাটা, গোপালনগর ও বাগদা থানার বাহিনী গিয়ে আটক পুলিশকর্মীদের উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশি টহল চলছে। |