বোর্ড মিটিং ঘিরে ফের তৃণমূল-সিপিএম বিরোধ
ভাষা দিবসে রাজনৈতিক সৌজন্য দেখিয়েছিল হলদিয়া পুরসভা। কিন্তু তার পরেও রাজনৈতিক বিরোধিতা অব্যাহত বাম পরিচালিত পুরসভায়। আগামী বৃহস্পতিবার পুরসভায় বোর্ড মিটিংকে ঘিরে ফের সামনে এল দুই দলের বিরোধিতা।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত জানুয়ারিতে বোর্ড মিটিং হওয়ার কথা ছিল হলদিয়া পুরসভায়। কিন্তু নানা কারণে তা হয়নি। আগামী বৃহস্পতিবার সেই মিটিংয়ের ডাক দিয়েছে পুর-কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার মিটিংয়ের চিঠি বিলি ঘিরে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তৃণমূল কাউন্সিলাররা। তাঁদের অভিযোগ, সাত দিন আগে চিঠিতে সই করেছেন পুরপ্রধান। কিন্তু মিটিংয়ের একদিন আগে সেই চিঠি বিলি করা হল কেন? যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পুরপ্রধান তমালিকা পণ্ডাশেঠ।
তৃণমূলের লাগাতার বিক্ষোভ ও দুই বাম কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তৃণমূলের করা পুলিশি অভিযোগে বিপর্যস্ত পুরসভা গত মাসে ষষ্ঠ উন্নয়নমূলক বোর্ড মিটিং ডেকেও তা বাতিল করেছিল। যদিও ২৯ জানুয়ারি থেকে টানা বিক্ষোভের পরে ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসের দিনে পুরসভার অনুষ্ঠান ঘিরে দেখা গিয়েছিল বাম-তৃণমূল সৌজন্য। এর পরই না হওয়া বোর্ড মিটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় পুরসভা। সেই অনুযায়ী ২১ ফেব্রুয়ারির তারিখ দিয়েই চিঠিতে সাক্ষর করেন পুরপ্রধান। তবে পাঁচ দিন পর সেই চিঠি এ দিন বিলি হওয়ায় ‘কারচুপি’র অভিযোগ তোলেন তৃণমূল কাউন্সিলররা।
বিগত বছরের ৩ জুন পুর-নির্বাচনে ২৬টি আসনের ১৫টি দখল করে এই পুরসভা পুনর্দখল করে বামেরা। ২৬ জুন প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ জায়া তমালিকা পণ্ডা শেঠ পুরপ্রধান হিসেবে চতুর্থ বারের জন্য শপথ নেন। এর পর থেকে প্রতি মাসের উন্নয়নমুলক বোর্ড মিটিং ‘অবৈধ’ ঘোষণার দাবি জানিয়ে লাগাতার বিক্ষোভ চালিয়েছে তৃণমূল কাউন্সিলররা। পঞ্চম উন্নয়নমূলক বোর্ড মিটিংয়ের পর সমস্যার কথা অভিযোগ আকারে রাজ্যপালকেও জানিয়েছেন তমালিকা পণ্ডা শেঠ। এর পরেই ২৯ জানুয়ারি থেকে টানা বিক্ষোভ চলছেই। হলদিয়া পুরসভা সেই সময় ৩০ জানুয়ারির বোর্ড মিটিং বাতিল করে। প্রায় এক মাস বাদে বোর্ড মিটিং ডেকে আবারও পুরসভাকে বিরোধিতার মুখে পড়তে হল।
বিরোধী দল নেতা দেবপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, “২১ তারিখ চিঠি যদি সাক্ষর হয়ে থাকে তবে আগে চিঠি বিলি হল না কেন? জবাবদিহির ভয়েই বুধবার পুরপ্রধান ও উপ-পুরপ্রধানকে পুরসভায় দেখা যায়নি। আমরা ওই চিঠির রেজিস্টার বাজেয়াপ্ত করে এক্সিকিউটিভ অফিসারের কাছে জমা দিয়েছি।” অভিযোগ অস্বীকার করে পুরপ্রধান বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী এক সপ্তাহ আগে বৈঠকের চিঠি সাক্ষর করেছি। চিঠি বিলি বোর্ড মিটিংয়ের আগে বিলি হতেই পারে। কারও বিরোধিতার মানসিকতা থাকলে তারা সব সময় অজুহাত দেখাবেই। ওঁরা রেজিস্টার খাতা বাজেয়াপ্ত করার কে? বোর্ড মিটিং হবেই।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.