|
|
|
|
তমলুকে স্কুল ছাত্রীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার, অভিযোগ খুনের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
বাড়ির ছাদে ছাত্রীর গলাকাটা দেহ উদ্ধার হল তমলুক শহরে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রীর নাম মনীষা দে (১৭)। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তমলুক শহরের আবাসবাড়ি এলাকায় এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, স্থানীয় তাম্রলিপ্ত বালিকা বিদ্যাপীঠের দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে খুন করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পারিবারিক বিবাদের জেরে ওই কিশোরীকে নৃশংসভাবে খুন করেছে তাঁরই সৎমা। তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক কলেজের কাছে আবাসবাড়ি এলাকার বাসিন্দা শুভঙ্কর দে পেশায় সরকারি কর্মী। তাঁর স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়ে থাকা সত্ত্বেও তিনি কয়েক বছর আগে দ্বিতীয় বার বিয়ে করেন। তিনি, তাঁর মা, প্রথম পক্ষের স্ত্রী আরতিদেবী ছেলে ও মেয়ে মনীষাকে নিয়ে আবাসবাড়িতে একই সঙ্গে থাকতেন। |
|
বাড়ির সামনে ভিড় পড়শিদের। —নিজস্ব চিত্র। |
শুভঙ্করবাবুর দ্বিতীয় স্ত্রী জ্যোৎস্নাদেবী তমলুক শহরের শালগেছিয়ায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। মঙ্গলবার দুপুরে জ্যোৎস্নাদেবী আবাসবাড়িতে এসে শুভঙ্করবাবু, তাঁর প্রথম স্ত্রী ও মনীষাকে লাঠি দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এর পর তমলুক জেলা হাসপাতালে মনীষাকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যান তাঁর বাবা-মা। প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি ফিরে শুভঙ্করবাবু কাজে বেরিয়ে যান। আর মনীষার মা তমলুক থানায় অভিযোগ জানাতে যান। এই ফাঁকেই বাড়ির কাছেই লুকিয়ে থাকা জ্যোৎস্নাদেবী বাড়িতে ঢুকে মনীষাকে খুন করে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। তমলুক থানার পুলিশ এলে মনীষাকে খুনে তাঁর সৎ মা জড়িতএই অভিযোগ তুলে তাঁকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযুক্ত জ্যোৎস্নাদেবী পলাতক। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। |
|
|
|
|
|