|
|
|
|
পঞ্চায়েত প্রধানকে শো-কজ, বিতর্কে বিডিও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
পঞ্চায়েত অফিস খুলতে দু’ঘণ্টা দেরি হয়েছে। তাই তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে শো-কজ করলেন বিডিও। মঙ্গলবার এগরার দেশবন্ধু পঞ্চায়েতের এই ঘটনায় দেখা দিয়েছে বিতর্ক।
পঞ্চায়েত অফিস খোলার কথা সকাল দশটায়। কিন্তু এ দিন প্রায় সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত না খোলায় নানা কাজে আসা বাসিন্দারা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রকাশ রায়চৌধুরী ও বিডিও মৃন্ময় মণ্ডলকে ফোনে ক্ষোভ জানান। এর পরই বিডিও শো-কজ করেন পঞ্চায়েত প্রধান স্নেহলতা বরকে। বারোটা নাগাদ এক কর্মী এসে অফিস খোলেন। বিডিওর বক্তব্য, “প্রধানকে ফোন করলে উনি ফোন ধরেননি। অন্য কর্মীরাও ফোনে নানা কারণ দেখান। কেন এই পরিস্থিতি হল ও এ ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা প্রধানকে লিখিত জানাতে বলেছি।” স্নেহলতাদেবীর ব্যাখ্যা, “একসঙ্গে সকলেই ব্যস্ত হবেন, বোঝা যায়নি। কর্মীরাও আগে কিছু জানাননি।”
মুখ্যমন্ত্রী পঞ্চায়েতের মাধ্যমে উন্নয়নে গতি আনতে বিডিওদের সক্রিয় হতে বলেছেন। সেই দায়িত্বের পরিধি নিজ সিদ্ধান্তে বাড়িয়ে নিয়ে বিডিও প্রধানকে শো-কজ করেছেন এবং এই পদক্ষেপ তাঁর এক্তিয়ার বহির্ভূত বলে মনে করছেন অনেকেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পঞ্চায়েত দফতরের এক কর্তা এবং এক বিডিও বলেন, “জনপ্রতিনিধিদের শো-কজ করতে পারেন না বিডিওরা।”
গোটা ঘটনার একজোটে সমালোচনা করেছে তৃণমূল-সিপিএমও। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি তৃণমূলের মামুদ হোসেনের মতে, “এই পদক্ষেপ সমর্থনযোগ্য নয়।” পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি সিপিএমের অন্তরা ভট্টাচার্যও বলেন, “জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে এ ভাবে আচরণ করতে পারেন না বিডিও।”
স্থানীয় সূত্রে খবর, এগরার ঘটনার পিছনে রয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। ওই পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আলোক মহাপাত্রের অনুগামী। অন্য গোষ্ঠীর নেত্রী হলেন পঞ্চায়েত সমিতির শিশু ও নারী কল্যাণ কর্মাধ্যক্ষ রীতা খাঁড়া। আলোকবাবুর অভিযোগ, “বিরোধী গোষ্ঠীর লোকই ব্লক অফিসে নালিশ করেছেন।” রীতাদেবীর কটাক্ষ, “প্রধান, উপপ্রধান ও দলের কিছু নেতার জন্যই পঞ্চায়েতের কর্মসংস্কৃতির এই হাল।” |
|
|
|
|
|