এক কথায়, তাঁর ‘গুরু’। ক্রিকেটের আসল ক্লাস যদি সামি আহমেদ কারও কাছে করে থাকেন, তো তিনি ওয়াসিম আক্রম। কিন্তু আসন্ন আইপিএলে কেকেআর আছে, ওয়াসিম আক্রম নেই। এবং ‘ছাত্র’ সামি চরম বিমর্ষ শুধু নন, কিছুটা যেন দিশেহারাও।
সামির মনে হচ্ছে, আক্রম যে ভাবে সিনিয়র-জুনিয়রদের সঙ্গে মিশে যেতেন, ছোট ছোট ব্যাপারগুলো ধরিয়ে দিতেন, সেগুলো না পেলে ক্ষতিই হবে তাঁর। “ওয়াসিম ভাই আমার জন্য যা করেছেন, ভোলা যায় নাকি? কেকেআরে ওঁর ক্লাসের পরই আমার এত উন্নতি ঘটেছে। আজ ইন্ডিয়া খেলছি,” মঙ্গলবার বিজয় হাজারের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে বিশাখাপত্তনম রওনা হওয়ার আগে বলছিলেন সামি। যাঁকে কিংবদন্তি পাক পেসারের হালফিলের এক নম্বর ছাত্র বলে মনে করা হয়। “ওয়াসিম ভাই থাকার সুবিধাটা হল, ওঁর চোখে এমন অনেক ছোট ছোট জিনিস ধরা পড়ে যেগুলো আর কেউ দেখে না। ওই টিপসগুলো আর কে দেবে?” |
মনোজ তিওয়ারি এবং লক্ষ্মীরতন শুক্ল-রও মত মোটামুটি এক। মনোজ বলছিলেন, “চোখের সামনে দেখেছি কী ভাবে সামি আর জয়দেবকে (উনাদকট) তৈরি করেন। ইনসুইংটা হাতে ধরে শিখিয়েছিলেন জয়দেবকে। এখন দেখুন ও কী রকম পারফর্ম করছে ভারত ‘এ’ দলে। গোটা কেকেআরই আক্রমের অভাব টের পাবে।”
এ দিন দুপুর-দুপুর বিশাখাপত্তনম পৌঁছয় বাংলা। আগামী বৃহস্পতিবার কোয়ার্টার ফাইনাল রবিন উথাপ্পা, বিনয় কুমারের কর্নাটকের বিরুদ্ধে। বাংলা অধিনায়ক লক্ষ্মী বলছেন, “কোয়ালিফাইং পর্ব দেখে বাংলাকে বিচার করা ঠিক হবে না। ওয়ান ডে ম্যাচ। আমরাও ছাড়ব না ওদের।” |